শিরোনাম
রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮:২৭, ৭ জুন ২০২৫
নিহত আয়েশা দীঘলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় বাসচালক জিয়ারুল ইসলামের মেয়ে। গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মসজিদের সামনে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশুটি। পরিবারের তিন দিনের উৎকণ্ঠার অবসান ঘটে শুক্রবার সন্ধ্যায়, যখন বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত টয়লেটের গর্ত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গর্তটি বাড়ির মালিক সাইদুল ইসলামের নির্মাণ করা পুরোনো একটি টয়লেট। দীর্ঘদিন ধরে সেটি ব্যবহার না হওয়ায় আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছিল।
শিশুটির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের হেফাজতে থাকা সন্দেহভাজন তিনজন—এক কিশোর এবং তার বাবা-মাকে ছিনিয়ে নিয়ে মারধরের চেষ্টা করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আজ সকালে আয়েশার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু ঈদের ছুটিতে কোনো চিকিৎসক না থাকায় ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া মরদেহ পচে যাওয়ায় হাসপাতালের হিমঘরে রাখতেও আপত্তি জানায় কর্তৃপক্ষ। অবশেষে ডোমদের সঙ্গে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে লাশকাটা ঘরে মরদেহ রাখার ব্যবস্থা করেন শিশুটির স্বজনেরা।
আয়েশার চাচা মো. লালন বলেন, ‘পচুক, শেষ হয়ে যাক, আমার বাচ্চাকে লাশকাটা ঘরেই রাখতে হবে। এ জন্য গুনতে হলো তিন হাজার টাকা।’
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানিয়েছেন, নিহত শিশুর বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় এক কিশোরসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। আটক তিনজনই পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
এই নির্মম ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঈদের আনন্দ হারিয়ে গেছে আয়েশার পরিবারের জন্য।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ