সিলেট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫:৪৯, ১৪ জুন ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাসহ আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন শুরু হয়, যা এখনো চলমান। এমন পরিস্থিতিতে আজ সকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জাফলং ও পিয়াইন নদ এলাকা পরিদর্শনে যান।
পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টারা গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই তারা জানান, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে জাফলংয়ে আর কোনো পাথর কোয়ারি ইজারা দেওয়া হবে না। এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন উপস্থিত শ্রমিক ও এলাকাবাসী।
পরে উপদেষ্টারা গাড়িতে উঠলে বল্লাঘাট এলাকায় কয়েক শ শ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দা তাঁদের গাড়িবহর আটকে রাখেন। তারা কোয়ারি চালুর দাবিতে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন। পাঁচ থেকে সাত মিনিট অবরোধ চলার পর পুলিশ হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং উপদেষ্টারা সিলেট শহরের উদ্দেশে রওনা হন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরকার মো. তোফায়েল আহমদ জানান, গণমাধ্যমে বক্তব্যের পরপরই কিছু ব্যক্তি বিক্ষোভ শুরু করেন। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি, পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
জাফলং পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘জাফলং একটি প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ECA)। তাই এখানে আর কোনো পাথর কোয়ারি ইজারা দেওয়া হবে না। তবে ইকোফ্রেন্ডলি পর্যটন উন্নয়নের মাধ্যমে এখানকার মানুষের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘এ এলাকা ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আপাতত এখান থেকে কোনো পাথর উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ক্রাশার মেশিন সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/এসএআর