শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২২:৩৩, ১৪ জুন ২০২৫
শনিবার (১৪ জুন) এক্স (সাবেক টুইটার)–এ দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘রোববার মাসকটে অনুষ্ঠেয় ইরান-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা এখন আর হচ্ছে না। তবে আমরা বিশ্বাস করি, স্থায়ী শান্তির একমাত্র পথ হলো কূটনীতি ও সংলাপ।’
বাতিল হওয়া আলোচনা ছিল ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনার ষষ্ঠ দফা। গত কয়েক সপ্তাহে ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন সামরিক ও পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায়। এসব হামলায় ইরানের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীরা নিহত হন। এরপর থেকেই তেহরান আলোচনায় অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা শুধু আলোচনার পরিবেশই নষ্ট করেনি, বরং পুরো অঞ্চলকে আরও অস্থির করে তুলেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘদিন ধরেই ‘নীরব মধ্যস্থতাকারী’ হিসেবে পরিচিত ওমান। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার আলোচনার স্থল হিসেবে ওমানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। দেশটি এর আগেও পরমাণু সমঝোতা (JCPOA) অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রেখেছিল।
তবে এবারের আলোচনা বাতিল হওয়ায় দুই পক্ষের সম্পর্ক আরও জটিল ও অস্থির হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে মতপার্থক্য বহুদিনের। ২০১৫ সালের ঐতিহাসিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে বেরিয়ে যাওয়ার পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। এরপর নতুন চুক্তির উদ্দেশ্যে ধারাবাহিক আলোচনা চললেও তা বারবার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনায় ভেস্তে যাচ্ছে।
বর্তমানে ইসরায়েল-ইরান সরাসরি সামরিক উত্তেজনায় জড়িয়ে পড়ায় পরমাণু আলোচনার ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
এমআরএইচ