শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:২৬, ১৪ জুন ২০২৫ | আপডেট: ২৩:৫৮, ১৪ জুন ২০২৫
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এ বিষয়ে তারা যে দ্রুততা দেখিয়েছেন, আমি তার জন্য অনেক প্রশংসা করি।’
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধ সমন্বয় কেন্দ্র বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও যুক্তরাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ খুঁজছে। এই প্রচেষ্টা বিশেষভাবে হাসিনা সরকারের আমলের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে সহায়তা করার জন্য।
বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের ধারণা, হাসিনা সরকারের সময় প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার (১৭৪ বিলিয়ন পাউন্ড) বিদেশে পাচার হয়েছে, যার বড় একটি অংশ যুক্তরাজ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থা (NCA) জানায়, তারা সাধারণত আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে মন্তব্য করে না। সংস্থাটির এক মুখপাত্র বলেন, ‘যদি কোনো তদন্ত শুরু হয়ে থাকে বা কোনো অংশীদারের তদন্তে সহায়তা দেওয়া হয়, তাও আমরা নিশ্চিত করি না।’
তবে বিবিসি জানিয়েছে, NCA ইতোমধ্যেই ISICC-কে লন্ডনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, যা এই উদ্যোগের প্রতি ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের আগ্রহকেই ইঙ্গিত করে।
সম্প্রতি অধ্যাপক ইউনূস বাকিংহাম প্যালেসে রাজা চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া ব্রিটিশ বাণিজ্য সচিব জনাথন রেনল্ডসের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে এক টুইট বার্তায় রেনল্ডস বলেন, তারা ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পারস্পরিক সমৃদ্ধি’ বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
তবে ইউনূস জানান, তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি। এ বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না আমার হতাশ হওয়া উচিত, নাকি দুঃখিত হওয়া উচিত। এটি একটি হারানো সুযোগ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখনো কোনো ব্যাখ্যা পাইনি। সম্ভবত তিনি (স্টারমার) অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত ছিলেন।’
উল্লেখ্য, কিয়ার স্টারমার ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক একই নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
এমআরএইচ