আক্রমণ না থামলে ‘তেহরান জ্বলবে’

ইরান যদি ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া চালিয়ে যায়, তবে ‘তেহরান জ্বলবে’—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ। শনিবার (১৪ জুন) নতুন করে ইরানকে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

এর আগে সকালে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলায় ইসরায়েলে অন্তত তিনজন নিহত হন। খবর এপি।

ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের সঙ্গে এক বৈঠকের পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী কার্টজ বলেন, “ইসরায়েলের নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতির জন্য ইরানকে চরম মূল্য দিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “খামেনি যদি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া বন্ধ না করেন, তাহলে তেহরান জ্বলবে।”

শনিবার এক ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা জানান, আরও হামলার জন্য তারা প্রস্তুত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, “এখানেই শেষ নয়।”

ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ড্রোন ও যুদ্ধবিমান দিয়ে ইরানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। লক্ষ্য করা হয়েছে শীর্ষ জেনারেল, বিজ্ঞানী ও সামরিক বিশেষজ্ঞদের।

ইসরায়েলি বাহিনীর ভাষ্য অনুযায়ী, ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পে যুক্ত নয়জন শীর্ষ বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞকে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে, জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এসব হামলায় ৭৮ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৩২০ জন।

জবাবে ইরানও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছুড়ে পাল্টা আঘাত হানে। রাতভর তেল আবিব ও জেরুজালেমের আকাশ আলোয় উদ্ভাসিত হয়। বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ভবনগুলো।

উভয় পক্ষই জানিয়েছে, পাল্টা হামলা অব্যাহত থাকবে। এতে করে মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শুক্রবার বলেন, “আমাদের লক্ষ্য—ইসরায়েলের ওপর যেকোনো ইরানি হুমকি নির্মূল করা।”

তিনি ইরানি জনগণকে তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আহ্বানও জানান। নেতানিয়াহু বলেন, “ইসরায়েল ইরানি সরকারের পতনকে স্বাগত জানাবে, যদিও তা সরাসরি ঘটানোর চেষ্টা করছে না।”