শিরোনাম
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯:৫৬, ১১ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিৎ করেছেন।
পুলিশ জানায়, বাকলিয়া এক্সেস রোডে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সাজ্জাদের পাশাপাশি তার স্ত্রী তামান্না শারমিনকেও আসামি করা হয়েছিল। তিনি উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন পান। কিন্তু জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ না করায় পুলিশের খাতায় তিনি পলাতক হিসেবে ছিলেন।
জানা গেছে, বহদ্দারহাটে প্রকাশ্য দিবালোকে এক যুবককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় অসামি ছিলেন ছোট সাজ্জাদ। ওই মামলায় তাকে ১৫ মার্চ রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখন সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না ফেসবুক লাইভে এসে তার স্বামীকে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনার ঘোষণা দেন। সাজ্জাদকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনে তার সহযোগীরা বাকলিয়ার এক্সেস রোডে প্রাইভেট কারে ব্রাশ ফায়ার করে দুই যুবককে হত্যা করে।
ওই ঘটনায় নিহত এক যুবক- মানিকের মা বাদি হয়ে বাকলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় হুকুমদাতা হিসেবে কারাবন্দি সাজ্জাদ এবং তার স্ত্রীসহ সুনির্দিষ্ট পাঁচ জন ও অজ্ঞাতনামাদের আসামি করেন। সাজ্জাদ বায়েজিদ বোস্তামী থানার হাটহাজারীর শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে এক ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে।
বাকলিয়া থানার ওসি জানান, গ্রেপ্তারের সময় তামান্না হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেওয়ার পর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন বলে জানান। কিন্তু তিনি এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ