শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:১২, ৯ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জের কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইয়ুম খান জানান, সাবেক মেয়র আইভীকে মিনারুল হত্যা মামলায় আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আদালত মামলার শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৬ মে হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আইভীকে গ্রেপ্তারের জন্য শহরের দেওভোগ এলাকায় তার নতুন বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর সকাল পৌনে ছয়টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় সেখানে তার বিপুলসংখ্যক সমর্থক অবস্থান করছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে আইভীকে গ্রেপ্তারের পর তাকে নিয়ে র্যাব ও পুলিশের ১৫টি গাড়ি ডিবি কার্যালয়ের দিকে রওনা হয়। এ সময় ৩০-৪০ জনের একটি দল হামলা চালায়। তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় আইভীর সমর্থকদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যান। হামলাকারীদের ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের দুই সদস্যসহ পাঁচজন আহত হন।
অন্যদিকে গ্রেপ্তার হওয়ার সময় আইভী বলেন, ‘আমি তো বাড়িতেই ছিলাম, আমি তো পালাইনি। তাহলে এইভাবে আমাকে গ্রেপ্তার করতে হলো কেন?’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি কী জুলুমবাজ, আমি কী হত্যা করেছি, আমি কী চাঁদাবাজি করেছি, আমার এমন কোনো রেকর্ড আছে নারায়ণগঞ্জ শহরে; কোনো বিরোধী দলকে আঘাত করেছি, তাহলে কীসের জন্য কী কারণে, কোন ষড়যন্ত্রের কারণে কার স্বার্থে আমাকে গ্রেপ্তার করা হলো। আমিও প্রশাসনের কাছে জানতে চাই।’
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আইভীকে গ্রেপ্তারের জন্য দেওভোগ এলাকায় তার নতুন বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। তখন আইভীর বাড়ির প্রবেশ পথের দুই রাস্তায় বাঁশ, ঠেলাগাড়ি, ভ্যানগাড়ি ফেলে অবরুদ্ধ করে রাখেন এলাকার মানুষজন। আশেপাশের এলাকার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্থানীয়দের রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানানো হয়। তখন মুহূর্তের মধ্যে আইভীর বাড়ির চারপাশে সড়কে অবস্থান নেন এলাকাবাসীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ