ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

১৯ আষাঢ় ১৪৩২, ০৭ মুহররম ১৪৪৭

শিরোনাম

Scroll
ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যা মামলার রায় আজ
Scroll
বান্দরবানের রুমায় দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের কমান্ডারসহ দুই সদস্য নিহত
Scroll
সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার
Scroll
চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে
Scroll
মৌলভীবাজারের বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে আরো ৪৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
Scroll
কুমিল্লার মুরাদনগরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা
Scroll
পদত্যাগপত্র জমা দিলেন শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা পরিচালক চিত্রশিল্পী ও শিল্প সমালোচক মোস্তফা জামান
Scroll
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ৬৫ যাত্রী নিয়ে ফেরিডুবি, নিখোঁজ ৪৩

ইতালি নাগরিক তাবেলা হত্যা: তিনজনের যাবজ্জীবন, চারজন খালাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫:২৯, ৩ জুলাই ২০২৫

ইতালি নাগরিক তাবেলা হত্যা: তিনজনের যাবজ্জীবন, চারজন খালাস

ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং চারজনকে খালাস দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল, রাসেল চৌধুরী এবং মিনহাজুল আরেফিন ওরফে ভাগনে রাসেল। খালাসপ্রাপ্ত চারজনের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম, তার ভাই আবদুল মতিন, শাখাওয়াত হোসেন ও সোহেল।

আসামিদের মধ্যে তামজিদ, রাসেল, মিনহাজুল, মতিন ও শাখাওয়াত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। তবে মামলার বিচার চলাকালে কাইয়ুম ও সোহেল পলাতক ছিলেন। অন্য পাঁচ আসামির মধ্যে মতিন জামিনে এবং বাকি চারজন কারাগারে ছিলেন। আজ রায় ঘোষণার সময় তারা সবাই আদালতে হাজির ছিলেন।

২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকার গুলশান এলাকায় গভর্নর হাউজের পাশে ফুটপাতে তাবেলা সিজারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি ছিলেন নেদারল্যান্ডসভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিও কো-অপারেশনের বাংলাদেশের আবাসিক কর্মকর্তা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর ইসলামিক স্টেট (আইএস) এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে একটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আইসিসিও কো-অপারেশনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হেলেন দার বিক গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৮ জুন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ কাইয়ুমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছরের ২৪ আগস্ট আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ড ছিল পূর্বপরিকল্পিত। মূল লক্ষ্য ছিল একজন শ্বেতাঙ্গ বিদেশিকে হত্যা করে দেশ-বিদেশে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা।

দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে অবশেষে মামলার রায় ঘোষণা হলো। তবে এখনও পলাতক দুই আসামির বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ

আরও পড়ুন