শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:৩৫, ৩ জুন ২০২৫
একক মাস হিসেবে মে মাসে রপ্তানিতে দেখা গেছে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি। এই মাসে রপ্তানি আয় ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলারে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। তথ্য এসেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে।
রপ্তানির প্রধান খাত তৈরি পোশাকে এবারও প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে—এই সময়ে পোশাক খাত থেকে আয় হয়েছে ৩৬ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি।
ওভেন পোশাক: রপ্তানি আয় ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার
নিটওয়্যার: আয় হয়েছে ১৯ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৯৮ শতাংশ
পোশাকের বাইরে অন্যান্য খাতেও দেখা গেছে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি:
চামড়ার তৈরি জুতা: ২৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি, আয় বেড়ে ৬২০ মিলিয়ন ডলার
নন-লেদার ফুটওয়্যার: ৩০ দশমিক ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি, আয় ৪৯৪ মিলিয়ন ডলার
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য: ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়ে ১ বিলিয়ন ডলার
প্লাস্টিক পণ্য: ১৮ দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়ে ২৭০ মিলিয়ন ডলার
হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ: ১৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেড়ে ৪১০ মিলিয়ন ডলার
ফার্মাসিউটিক্যালস: ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি, আয় ১৯৭ মিলিয়ন ডলার
কৃষিপণ্য: রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২৮ মিলিয়ন ডলার
পাট ও পাটজাত পণ্য: ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ হ্রাস, মোট আয় ৭৬৯ মিলিয়ন ডলার
হোম টেক্সটাইল: ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি, আয় দাঁড়িয়েছে ৮২৫ মিলিয়ন ডলার
তবে চামড়াজাত অন্যান্য পণ্য: রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ কমে ৩১৭ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববাজারে প্রতিকূলতা সত্ত্বেও রপ্তানি আয়ের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতা ও পণ্যের বহুমাত্রিকতাকে তুলে ধরছে। তবে পাট ও চামড়াজাত কিছু পণ্যে নেতিবাচক প্রবণতা ধরে রাখতে হলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার বলেও মনে করেন তারা।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ