শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০:১৮, ১৬ জুন ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
সূত্রগুলো জানিয়েছে, খামেনির সঙ্গে তার পুত্র মোজতবাসহ পরিবারের সব সদস্যকেও বাঙ্কারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে ২০২৪ সালে ইরান পরিচালিত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে 'ট্রু প্রমিজ ১', 'ট্রু প্রমিজ ২'- এর সময়েও খামেনির পরিবারকে বাঙ্কারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার (১৫ জুন) প্রথমবারের মতো ইরানের মাশহাদ শহরে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এটি ইসরায়েল থেকে দুই হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূরে।
মধ্যপ্রাচ্যের একটি কূটনৈতিক সূত্র ইরান ইন্টারন্যাশনালকে বলেছে, মাশহাদে ইসরায়েলি বিমান হামলা খামেনির জন্য একটি সতর্কবার্তা ছিল যে তিনি দেশের কোথাও নিরাপদ নন।
কূটনৈতিক ওই সূত্র আরো জানিয়েছে, অভিযানের প্রথম রাতেই ইসরায়েল খামেনিকে হত্যা করতে পারতো। তবে ইসরায়েলি সরকার সেটি না করে তাকে চূড়ান্ত একবারের জন্য সুযোগ দিয়েছেন যেন তিনি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বাতিল করে চুক্তি করার জন্য খামেনিকে দুই মাসের সময় দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে খামেনি ট্রাম্প এবং ইসরায়েল উভয়ের সতর্ক বার্তা অবজ্ঞা করেছেন।
এদিকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২০ জন উচ্চপদস্থ ইরানি সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানী নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আঘাত-পাল্টা আঘাতে রক্ত ঝরছে দুদেশেই।
অন্যদিকে ইসরায়েলি হামলার অন্যতম লক্ষ্যবস্তু আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিও হতে পারেন বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের একজন সামরিক কর্মকর্তা।
রবিবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটি জানান ওই ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা। প্রকাশিত এক সংবাদে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তা বলেন, যে তালিকার প্রতি লক্ষ্য নির্ধারণ করে হামলা চালানো হয়েছে আয়াতুল্লাহ খামেনি এর বাইরে নন।
তার এমন মন্তব্যে শুধু ইরানি শীর্ষ সামরিক ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাই নয় বরং দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিকে হত্যার ব্যাপারে ইসরায়েলি পরিকল্পনার তথ্য প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়।
এদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের শনিবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের রাজধানী তেহরানের পাস্তুর এলাকায় এই হামলার চেষ্টা হয়। ওই এলাকাতেই সাধারণত অবস্থান করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ও সর্বোচ্চ নেতা। হামলা প্রতিহত করতে ইরানি সেনাবাহিনী ব্যাপকভাবে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করছে।
পাস্তুর এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, হামলার আশঙ্কায় সেখানে নিয়মিতভাবে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে মিসাইল ছোড়া হচ্ছে। তাদের মতে, এসব ব্যবস্থা কার্যকরভাবে মোতায়েন করা হয়েছে যেন ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র কোনোভাবেই ওই এলাকায় আঘাত হানতে না পারে।
অন্যদিকে মার্কিন গণমাধ্যমে খবর এসেছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আয়াতুল্লাহ খামেনিকে হত্যার প্রস্তাব দিলেও ট্রাম্প তা প্রত্যাখ্যান করেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ