ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

২ আষাঢ় ১৪৩২, ১৯ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
Scroll
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে আবারো বিক্ষোভে কর্মচারীরা
Scroll
ঈদযাত্রার ১৫ দিনে দেশে ৩৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৯০ ও আহত ১১৮২ জন: বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি
Scroll
কক্সবাজারের রামুতে যাত্রীবাহী বাস ও কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩, আহত ১০
Scroll
নেপাল থেকে আসা বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে
Scroll
চারদিনের পাল্টাপাল্টি হামলায় ইসরায়েলে নিহত ২০, ইরানে ২২৪ জন
Scroll
পরিবারসহ বাঙ্কারে লুকিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্ময়ি নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি
Scroll
সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস বা এমআই সিক্সের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধান হচ্ছেন ব্লেইজ মেট্রেওয়েলি
Scroll
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ-২০২৫-এ ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কায় কলম্বোয়

শেখ হাসিনার মামলার শুনানি, ককটেল বিস্ফোরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪:১৭, ১৬ জুন ২০২৫

শেখ হাসিনার মামলার শুনানি, ককটেল বিস্ফোরণ

রাজধানীর শিশু একাডেমি-সংলগ্ন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফটকের কাছে সোমবার (১৬ জুন) সকালে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সকাল ৫টা ২৫ মিনিটের দিকে এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর।

ওসি জানান, “ট্রাইব্যুনালের সামনে পাকা রাস্তায় একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। একই জায়গা থেকে আরেকটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।” এ বিষয়ে আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।

এই বিস্ফোরণ এমন একদিনে ঘটল, যেদিন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মামলায় তার সঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনও আসামি হিসেবে রয়েছেন। দুপুরে মামলাটির শুনানি হয় ট্রাইব্যুনালে।

এর আগে একই মামলার গত ১ জুনের শুনানির দিনেও একই স্থানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তখনো শাহবাগ থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ‘ককটেল সদৃশ’ একটি বস্তু বিস্ফোরিত হয় এবং ঘটনাটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) আকারে লিপিবদ্ধ করা হয়। তবে তখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

এদিনের শুনানি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা এসব বিস্ফোরণকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছি না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। বাংলাদেশের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া নির্বিঘ্নেই চলবে। কেউ যদি এই বিচার বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

টানা দুই শুনানির দিনেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। তদন্ত সংস্থাগুলোকে দ্রুত ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কার্যকর উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এমআরএইচ

আরও পড়ুন