শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯:৩৪, ১৬ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১৯:৩৬, ১৬ জুন ২০২৫
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ টি এম আবদুর রউফ মণ্ডল জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সহায়তায় ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কাজ করছে দূতাবাস।
তেহরানে দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিনিয়ত হামলার শব্দ, সাইরেনের আওয়াজ ও আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার গর্জনে আতঙ্কিত পরিবেশে দিন কাটাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সংযোগ মাঝেমধ্যে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় যোগাযোগেও সমস্যা হচ্ছে।
তিনি বলেন, “এই পরিস্থিতিতে ভালো থাকা কঠিন। দুই মিনিটের মধ্যে কথা শেষ করার তাগিদ দিতে হচ্ছে, কারণ সংযোগ যেকোনো সময় কেটে যেতে পারে।”
দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, তেহরান, কোম ও বন্দর আব্বাসসহ বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েক দশক ধরে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে অনেকে সেখানে বিয়ে করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তবে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের জায়গা শিক্ষার্থীরা। ছাত্রাবাস বন্ধ হয়ে গেলে তাদের নিরাপত্তা, আশ্রয় ও জীবিকা নিয়ে দূতাবাস গভীরভাবে চিন্তিত।
এছাড়া বিভিন্ন কারণে অবৈধ হয়ে পড়া প্রায় ১০০ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন। ১৩ জুন ৩০ জনের একটি দল ঢাকায় ফিরতে চাইলেও আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় তারা যেতে পারেননি। একইভাবে চিকিৎসা, ভ্রমণ বা পেশাগত কাজে থাকা আরও ৪০-৫০ জন নাগরিক বর্তমানে তেহরান ও আশপাশে আটকে আছেন।
দূতাবাস জানায়, ঝুঁকিতে থাকা প্রায় ৩০০ বাংলাদেশিকে তুরস্ক ও আর্মেনিয়ার মাধ্যমে স্থলপথে নিরাপদ স্থানে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ভিসা পেতে তেহরানে দেশ দুটির দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে।
এক কর্মকর্তা বলেন, “পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে আমাদের কর্মীদের পরিবারকে তেহরানের বাইরে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে। তবে নিরুপায় না হওয়া পর্যন্ত দূতাবাস বন্ধ করা হবে না।”
দূতাবাস আরও জানায়, ইরান হয়ে ইরাক ও তুরস্ক হয়ে ইউরোপে যাওয়ার পথে মানব পাচারের শিকার হয়ে দেশটিতে আটকে আছেন প্রায় ৩০০ থেকে ৫০০ বাংলাদেশি। তবে তাদের অবস্থান ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দূতাবাসের কাছে নেই। পরিস্থিতির পরিবর্তনে এই সংখ্যা বাড়তেও পারে, কমতেও।
এমআরএইচ