শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০:১২, ১৬ জুন ২০২৫
অভিযুক্ত জোবায়ের আহমদ। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
এ ঘটনায় সোমবার (১৬ জুন) বাদী হয়ে আরাইহাজার থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা মাসুদা বেগম।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি জানান, তার ছেলে এবং অভিযুক্ত জোবায়ের উভয়েই নরসিংদীর ফয়দাবাদ চাঁদ পাশা জিয়াউল মাদরাসার শিক্ষার্থী। ১১ জুন রাতে জোবায়ের তার ছেলেকে আড়াইহাজারে নিজ শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যায়। যাওয়ার পথে জোবায়ের ছেলেটিকে একটি জুস খাওয়ায়, যা খাওয়ার পর সে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে রাতে একই বিছানায় শোয়ার সময় জোবায়ের তাকে বলাৎকারের চেষ্টা করে। কয়েকবার চেষ্টার পরও ব্যর্থ হয়ে ছেলেটির দুই অণ্ডকোষ কেটে ফেলে।
তখন ছেলেটি চিৎকার শুরু করলে জুবায়ের তড়িঘড়ি করে তাকে উদ্ধার করে রূপগঞ্জের গাউছিয়া এলাকায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
তবে হাসপাতালে না নিয়ে জোবায়ের গোপনে ভুক্তভোগীকে নরসিংদীর পুঠিয়া বাজার এলাকার হোনাতলা গ্রামে তার ফুফুর বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে কয়েক ঘণ্টা রাখার পর ছেলেটির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ওই দিন সন্ধ্যায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে সেখানেই চিকিৎসাধীন।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে ধর্ষণচেষ্টার মামলা দিয়ে আজ নারায়ণগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এসএআর