শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭:১৯, ১৬ জুন ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
সোমবার (১৬ জুন) দিনভর ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৫ জন খাদ্য সহায়তা সংগ্রহের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
নিহতরা বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) সহায়তা কেন্দ্রগুলোর আশপাশে অবস্থান করছিলেন, যেগুলো পরিচালিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থনে।
মাঠপর্যায়ের পর্যবেক্ষণ বলছে, ইসরায়েলের লক্ষ্য এখন আর কেবল হামাস নয়—তারা সংগঠিতভাবে আবাসিক এলাকা ধ্বংস করে বেসামরিক জনগণকে গাজার পশ্চিম অংশে ঠেলে দিতে চাইছে। দেইর আল-বালাহ ও আশপাশের এলাকায় প্রতিদিনই চলছে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলি বোমা ও গোলাবর্ষণে এখন পর্যন্ত উপত্যকার প্রায় ৬০ শতাংশ স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে। বহু পরিবার এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকায় হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের ধারণা, এই আক্রমণের মূল উদ্দেশ্য হামাসকে নির্মূল করার বাইরে গিয়ে গাজার সামগ্রিক অবকাঠামো ধ্বংস করা। জনজীবন অচল করে দিয়ে অঞ্চলটি মানব বসবাসের অযোগ্য করে তুলতে চাইছে ইসরায়েল।
এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহল থেকেও এখনও পর্যন্ত কোনো কার্যকর প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে বৈশ্বিক দৃষ্টি কেন্দ্রীভূত থাকায় গাজার মানবিক সংকট আরও উপেক্ষিত হয়ে পড়ছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এসএআর