শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮:৪৮, ১৬ জুন ২০২৫
পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী চাঘি, ওয়াশুক, পানজগুর, কেচ ও গোওয়াদার জেলায় ইরানের সঙ্গে চলমান সব সীমান্ত কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেলুচিস্তানের জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাদির বখশ পিরকানি।
চাঘি সীমান্ত চৌকির কর্মকর্তা আত্তা উল মুনিম জানান, “পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইরানে প্রবেশ বন্ধ থাকবে। তবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং যারা ইরানে অবস্থান করছেন, বিশেষ করে পাকিস্তানি নাগরিকরা, প্রয়োজনে দেশে ফিরতে পারবেন।”
তিনি আরও বলেন, “আজ প্রায় ২০০ জন পাকিস্তানি শিক্ষার্থী দেশে ফিরতে পারে বলে আমরা আশা করছি।”
এর আগে, রোববার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জানান, ইতোমধ্যেই ইরান থেকে ৪৫০ জন পাকিস্তানি তীর্থযাত্রীকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং আরও অনেককে ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি চলছে। একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে ইরাকেও, যেখানে বহু শিয়া মুসলমানদের ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থান অবস্থিত।
পাকিস্তান, যা বিশ্বের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পারমাণবিক শক্তিধর দেশ, শুক্রবার জানায়— তারা ইরানের জনগণ ও সরকারের পাশে রয়েছে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরোধিতায়। উভয় দেশই ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এক বক্তব্যে বলেন, “বিশ্বকে ইসরায়েলের পারমাণবিক ক্ষমতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। কারণ ইসরায়েল কোনও আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তির তোয়াক্কা করে না।”
যদিও ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে তার পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের কথা স্বীকার করেনি, তবুও আন্তর্জাতিক মহলে দেশটিকে মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তান এবং শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানের মধ্যে ৯০০ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। তবে দুই দেশের সম্পর্ক বরাবরই স্পর্শকাতর ও জটিল।
ইরানের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পাকিস্তান সতর্ক ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষাও ইসলামাবাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ রিয়াদ অর্থনৈতিকভাবে কঠিন পরিস্থিতিতে থাকা পাকিস্তানকে বিভিন্ন সময় আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে।
দুই দেশের মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বর্তমানে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার। উভয় পক্ষই আগামী কয়েক বছরে এই পরিমাণ ১ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছে।
এমআরএইচ