শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭:৩৬, ১৬ জুন ২০২৫
সোমবার (১৬ জুন) বিকেলে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “টিউলিপ নিজেকে ব্রিটিশ দাবি করলেও আমাদের কাছে তার পরিচয় বাংলাদেশি বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। কেউ সুবিধা অনুযায়ী কখনো ব্রিটিশ, কখনো বাংলাদেশি দাবি করলে সেটি কতটা সমীচীন—তা আপনারা (সাংবাদিকরা) বিচার করবেন।”
চেয়ারম্যান আরও বলেন, টিউলিপের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান ও মামলা চলছে। তার মধ্যে রয়েছে রাজধানীর গুলশানে একটি প্লট অবৈধভাবে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করে ঘুষ হিসেবে ফ্ল্যাট গ্রহণ, রাজউক প্লট কেলেঙ্কারি, আয়কর রিটার্নে সম্পদের গড়মিল এবং যুক্তরাজ্যে সরকারের ঘনিষ্ঠদের ফ্ল্যাট ব্যবহারের অভিযোগ।
তিনি বলেন, “টিউলিপ সিদ্দিক যদি নির্দোষই হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার পদ থেকে পদত্যাগ করলেন কেন? আবার তার আইনজীবী আমাদের কাছে চিঠি লিখলেন কেন?”
টিউলিপের বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি করা হয় গত ১৫ এপ্রিল। এরপর তাকে ১৪ মে এবং ১৫ জুন—দুই দফায় তলব করা হয়েছে। দুদক বলছে, নির্ধারিত ঠিকানায় তলবপত্র পাঠানো হয়েছে। তবে টিউলিপ তার পক্ষ থেকে দাবি করেছেন, তিনি কোনো তলবপত্র পাননি।
দুদক চেয়ারম্যান জানান, “তার আয়কর রিটার্নে দেখা গেছে, হঠাৎ করেই ১০ ভরি স্বর্ণ থেকে তা বেড়ে ৩০ ভরিতে দাঁড়িয়েছে, অথচ দামের কোনো হেরফের নেই। এসবই আমরা আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় নিচ্ছি।”
টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি। চলতি বছর যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে তিনি চতুর্থবারের মতো পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে লেবার সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ে সিটি মিনিস্টারের দায়িত্ব পান। তবে চলমান দুর্নীতির অভিযোগ এবং বিতর্কের জেরে জানুয়ারিতে ওই পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
দুদক জানিয়েছে, টিউলিপকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনে আদালতে হাজির করানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এমআরএইচ