শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫:৫৮, ১৬ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১৫:৫৯, ১৬ জুন ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
দুইজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এপি ও রয়টার্স। এমন সময় এ খবর সামনে এলো, যখন ইরান সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীদের হারিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে—এই মুহূর্তেই কেন এমন স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস করল যুক্তরাষ্ট্র? এর পেছনে কী কারণ থাকতে পারে?
এ বিষয়ে আল জাজিরার সঙ্গে কথা বলেছেন সাবেক ইসরায়েলি কূটনীতিক ও বিশ্লেষক অ্যালন পিঙ্কাস। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্র এই তথ্য সামনে এনে একাধিক উদ্দেশ্য পূরণের চেষ্টা করেছে।
প্রথমত, এটি ইরানের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা—ইসরায়েলের কাছে কোনো পদক্ষেপই ইজরায়েলের বিবেচনার নয়। প্রয়োজনে তারা চূড়ান্ত পথেও যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত, এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও একধরনের অবস্থান স্পষ্ট করার সুযোগ। ট্রাম্প প্রশাসন এই তথ্য জানিয়ে বিশ্বকে বোঝাতে চাইছে—তারা সংঘাতে ইন্ধন দিচ্ছে না, বরং সংযম দেখাচ্ছে। সেই সঙ্গে ইসরায়েলকেও একই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পিঙ্কাস বলেন, ‘আমার মনে হয়, খবরটি ফাঁস করার পেছনে মূলত এই দুটি কারণই রয়েছে। এর বাইরে বড় কিছু নয়।’
তার মতে, ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপ ইরানকে একটি পরিষ্কার বার্তা দেয়—ইসরায়েল খামেনির মতো শীর্ষ নেতাকেও টার্গেট করার মতো পদক্ষেপ বিবেচনায় রেখেছে, এবং এই পরিকল্পনা তারা তাদের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও শেয়ার করেছে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরাসরি ‘না’ শোনার বিষয়টিও ইরানকে ইঙ্গিত দিচ্ছে—এখন নয়, কিন্তু ভবিষ্যতে এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এসএআর