ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫

২৪ বৈশাখ ১৪৩২, ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৬

প্রাথমিকে নিয়োগ হবে ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে

চাকরি ডেক্স

প্রকাশ: ১৩:৪৫, ৬ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৪:০০, ৬ মে ২০২৫

প্রাথমিকে নিয়োগ হবে ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হতে আগ্রহীদের জন্য আসছে বড় সুখবর। নতুন শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত হলে আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যেই প্রকাশিত হবে এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। বিশেষ দিক হলো—নতুন বিধিমালায় থাকবে না নারী ও পোষ্য কোটা। ৯৩ শতাংশ পদে নিয়োগ হবে সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে।

ডিপিইর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা সাধারণত বিজ্ঞপ্তিতে মোট পদের সংখ্যা উল্লেখ করি না। তবে বর্তমানে সহকারী শিক্ষক পদে ৮,০৪৩টি শূন্যপদ রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় এ সংখ্যা বাড়তে পারে ১০ থেকে ১২ হাজারে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের জন্য আরও ৫,১৬৬টি পদ। তাছাড়া প্রায় ৩০ হাজার সহকারী শিক্ষক পদোন্নতি পেলে যে পদ শূন্য হবে, সেখানেও নিয়োগ দেওয়া হবে। ফলে এবারের বিজ্ঞপ্তিতে বিপুল সংখ্যক প্রার্থী নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ থাকবে।’

২০২৫ সালের জন্য প্রণয়ন করা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায় উল্লেখযোগ্য কিছু পরিবর্তন আসছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হলো—কোটাব্যবস্থার বিলুপ্তি। পূর্ববর্তী ২০১৯ সালের বিধিমালায় নারী কোটা ছিল ৬০ শতাংশ, পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ এবং পুরুষ কোটা ২০ শতাংশ। নতুন বিধিমালায় এই কোটা থাকছে না। তবে বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের জন্য ২০ শতাংশ অগ্রাধিকার থাকবে।

নতুন বিধিমালাটি বর্তমানে রয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। ইতিমধ্যে সেখানে একটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন শুধু সচিব কমিটির বৈঠক এবং পরবর্তী অনুমোদনের অপেক্ষা। অনুমোদনের পর তা অর্থ মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং সরকারি কর্ম কমিশনে পাঠানো হবে মতামতের জন্য। প্রজ্ঞাপন প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি শুরু করবে ডিপিই।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারও আগেই জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিকে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে, পোষ্য কোটা থাকবে না।’ তিনি এই কথা বলেন গত বছরের ৮ ডিসেম্বর খুলনা বিভাগীয় এক মতবিনিময় সভায়।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, ১৩তম গ্রেডের সহকারী শিক্ষক পদে কোটার সীমা সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ। এই কোটার মধ্যে ৫ শতাংশ থাকবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য, ১ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী এবং ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। বাকি ৯৩ শতাংশই যাবে মেধার ভিত্তিতে।

নতুন বিধিমালায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হচ্ছে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ। দেশের ২,৫৮৩টি ক্লাস্টারে নিয়োগ দেওয়া হবে এই দুই বিষয়ের জন্য মোট ৫,১৬৬ জন সহকারী শিক্ষক—প্রতি ক্লাস্টারে একজন সংগীত এবং একজন শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক। এর জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও বিধান নতুন বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পরই এই দুটি বিষয়ের জন্য আলাদা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও আসবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
 

ঢাকা এক্সপ্রেস/বিডি

আরও পড়ুন