শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২২, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
গত শনিবার পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ড. ইউনূসও পোপের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এর আগে তিনি শুক্রবার কাতারের দোহা থেকে রোমে পৌঁছান।
পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পরদিন শনিবার ড. ইউনূস সাক্ষাৎ করেন ক্যাথলিক চার্চের শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা—কার্ডিনাল সিলভানো মারিয়া তোমাসি এবং কার্ডিনাল জ্যাকব কুভাকাডের সঙ্গে। তারা পোপ ফ্রান্সিসের আজীবন দারিদ্র্য বিমোচন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, যুদ্ধবিরোধী ভূমিকা এবং পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন বিশ্বের স্বপ্নের কথা স্মরণ করেন। একইসঙ্গে তাঁরা ড. ইউনূসের কাজের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাঁকে পোপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেন এবং দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে তাঁর নিরলস সংগ্রামের জন্য ধন্যবাদ জানান।
সাক্ষাতে ড. ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে নিজের দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা স্মরণ করে বলেন, পোপ সব ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে আপন করে নিতে পারতেন। তিনি ছিলেন এক অসাধারণ মানবপ্রেমী।
এছাড়া, জেনেভায় জাতিসংঘ অফিসে ভ্যাটিকানের সাবেক স্থায়ী পর্যবেক্ষক কার্ডিনাল তোমাসি ড. ইউনূসের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন।
এর আগে একই দিন বিকেলে ভ্যাটিকানের আন্তঃধর্মীয় সংলাপবিষয়ক দপ্তরের প্রধান কার্ডিনাল কুভাকাড রোমে একটি হোটেলে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে কার্ডিনাল কুভাকাড জানান, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে ক্যাথলিক চার্চের উদ্যোগে একটি আন্তঃধর্মীয় সংলাপের আয়োজন করা হবে, যেখানে বিভিন্ন ধর্মের নেতারা অংশগ্রহণ করবেন।
ড. ইউনূস বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে অব্যাহত সংলাপের গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের নাগরিক অধিকার রক্ষার প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
এদিকে, শনিবার রোমে ড. ইউনূসের হোটেলে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিও লুবেটকিন। পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার পর এই সাক্ষাতে তাঁরা পারস্পরিক আগ্রহের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে বর্তমান বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতি এবং লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন দুই নেতা।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি