শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:৫৫, ২৭ মে ২০২৫
মঙ্গলবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের কোনো কার্যক্রমের বিষয়ে অবগত নয় এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার পরিকল্পনা নেই।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও জননিরাপত্তা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করছে এবং মনে করে, কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মতো দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মাধ্যমেই সম্পন্ন হওয়া উচিত।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল ডিএনসিসি নগর ভবনে বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু প্রতিরোধবিষয়ক এক সভা শেষে এবং ২৩ এপ্রিল মোহাম্মদপুরে উচ্ছেদ অভিযানের সময় ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “মশার ওষুধ ছিটানো ও মনিটরিংয়ে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়া হবে।” এ বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
তবে সেনাবাহিনীর বিবৃতি প্রকাশের পরই আজ রাতে ডিএনসিসির জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হবে—এমন কোনো বক্তব্য ডিএনসিসির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি।”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, মূলত সেনাবাহিনীর অধীনস্থ সহায়ক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ)-এর সহযোগিতা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
ডিএনসিসির দাবি, গণমাধ্যমে প্রকাশিত বক্তব্যগুলো বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তব তথ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
এ নিয়ে জনমনে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তা সেনাবাহিনী ও সিটি করপোরেশন—দুই পক্ষের অবস্থান স্পষ্ট করার মাধ্যমে কিছুটা হলেও প্রশমিত হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ