শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:১৫, ২৮ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
বুধবার (২৮ মে) এক অফিস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একাডেমির নির্বাহী পরিষদের ২০২৫ সালের ষষ্ঠ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একাডেমির মূলমন্ত্র বা মোটো পরিবর্তন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেছেন, "একাডেমির নির্বাহী পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে অনুযায়ী অফিস বিজ্ঞপ্তিটি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা এখনো কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিইনি।"
একাডেমি সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুন-উর রশিদ বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকার সময় একাডেমির মূলমন্ত্র করা হয়েছিল 'বাংলা একাডেমি জাতির মননের প্রতীক'।
মোহাম্মদ হারুন-উর রশিদ ১৯৯১ সালে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তার চার বছরের মেয়াদের শেষ দিকে 'জাতির মননের প্রতীক' মূলমন্ত্রটি চূড়ান্ত করা হয়।
ক্ষমতচ্যুত আওয়ামী লীগের শাসনামলে শামসুজ্জামান খান মহাপরিচালক থাকাকালে বাংলা একাডেমির মূলমন্ত্র পরিবর্তন করে 'বাংলা একাডেমি বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক' করা হয়। শামসুজ্জামান খান ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ছিলেন।
একাডেমি সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেছেন, 'বাংলা একাডেমি বাঙালি জাতিসত্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষের প্রতীক' বলার মধ্য দিয়ে দেশের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণকে ‘সংকুচিত করা হয়’– এই যুক্তিতে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। একাডেমি মনে করছে, 'জাতির মননের প্রতীক' বলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বসবাসরত ‘সকল জাতির আকাঙ্ক্ষাকে’ ধারণ করা হয়।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসইউ