শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:০০, ২৯ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
পাউবো জানায়, ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের শঙ্কার কারণে উত্তরাঞ্চলের রংপুর, নীলফামারি, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোণা এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফেনী জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী ও ফেনী নদীর পানি বাড়ছে। এর মধ্যে মুহুরী নদীর কিছু পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে, ফলে ফেনী জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
তিস্তা নদীর পানি রংপুর বিভাগের কয়েকটি পয়েন্টে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে। এতে রংপুর, নীলফামারি, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিচু এলাকায় স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ছাড়া সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে অবস্থিত সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, মনু, খোয়াই ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীগুলোর কিছু পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপরে উঠতে পারে। ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং তা আরো ঘনীভূত হওয়ার শঙ্কা থাকলেও এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের কোনো আশঙ্কা নেই। তবে নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ বলেন, নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে না। শনিবার থেকে আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনে হালনাগাদ সতর্কতা জারি করা হবে বলে জানিয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে, যেন ক্ষয়ক্ষতি কমানো যায় এবং দ্রুত সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হয়।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ