শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:৪২, ২৯ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সচিবালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি শেষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি ও সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। এতে আরো বক্তব্য রাখেন ঐক্য ফোরামের আরেক কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবির।
নুরুল ইসলাম জানান, রবিবার (১ জুন) তারা খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, সড়ক, সেতু ও রেলপথ উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেবেন।
সোমবার (২ জুন) স্মারকলিপি দেওয়া হবে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুইয়ার কাছে।
এ সময় বক্তারা জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ের পাশাপাশি বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হবে। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরও একইভাবে কর্মবিরতিতে অংশ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এর পরপরই মন্ত্রণালয় ও বিভাগীয় কার্যালয়গুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংশোধিত অধ্যাদেশের বিরোধিতা করে শনিবার (২৪ মে) থেকে ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনের মধ্যেই রবিবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে অধ্যাদেশটি জারি করে। এতে বিক্ষোভ আরো তীব্র হয় এবং আন্দোলন আরো বিস্তৃত আকার ধারণ করে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সংশোধিত অধ্যাদেশে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বার্থবিরোধী কিছু ধারা যুক্ত হয়েছে যা চাকরির নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও প্রশাসনিক ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, নতুন অধ্যাদেশটি সরকারি চাকরির বিদ্যমান কাঠামো ও নিয়মনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
আন্দোলনকারীরা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, ৩১ মে’র মধ্যে দাবি না মানলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ