শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭:২৭, ২৪ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৭:২৯, ২৪ মে ২০২৫
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির মুখ্য আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি নন, বরং তাঁরা গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধিত্ব করেই এই সরকারে অংশ নিয়েছেন। এনসিপির সঙ্গে তাঁদের সম্পৃক্ততা দাবি করে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে, তিনি তার নিন্দা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বলেন, “বিচার সংস্কার ও নির্বাচন—এই তিনটি বিষয়ে সমন্বিত রোডম্যাপ জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রে প্রকাশ করা উচিত। এতে জনমনে আস্থা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি বাস্তবসম্মত সমাধানে পৌঁছাবেন।
সম্প্রতি অধ্যাপক ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে ওঠা গুঞ্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে নাহিদ বলেন, “অধ্যাপক ইউনূস মনে করছেন যে বিচার সংস্কারসহ মৌলিক দায়িত্বগুলো তিনি যদি পালন করতে না পারেন, তাহলে তাঁর থাকা অর্থহীন। তবে তিনিই জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাই তাঁকেই দায়িত্বে থাকতে হবে।”
সেনাবাহিনী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দিতে পারে না—এমন মন্তব্য করে নাহিদ ইসলাম বলেন, “তাদের কাজ দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেনাবাহিনীর প্রকাশিত ৬২৬ জনের তালিকা যদি আরও আগে প্রকাশ করা হতো, তবে জনমনে বিভ্রান্তি হতো না।”
নাহিদ বলেন, “আওয়ামী লীগ অনৈক্যের জন্য দায়ী। তারা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতা চর্চা করেছে। আজ অনৈক্য ও সংকট রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত।”
নাহিদ ইসলাম নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে বলেন, “ইসি নিরপেক্ষতা ও আস্থা হারিয়েছে। এ অবস্থায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।”
সংবাদ সম্মেলনে দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন স্পষ্ট করেন, এনসিপি অন্তর্বর্তী সরকারকে ৫ বছরের জন্য ক্ষমতায় রাখার পক্ষে নয়। তিনি বলেন, “সরকার সময় পাবে তার কার্যকারিতা ও অর্জনের ভিত্তিতে, সময়ের গ্যারান্টি নয়।”
আখতার হোসেন বলেন, “রিলিফ করিডর বা মানবিক করিডর—যে সিদ্ধান্তই হোক না কেন, তা যেন জনসাধারণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ প্রমুখ।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ