শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২:২১, ২৫ মে ২০২৫
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে যতটা সংস্কার প্রয়োজন, ততটাই করতে হবে।’ তিনি ভারতীয় আধিপত্যবাদকে চলমান রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ বলেও উল্লেখ করেন।
সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘সংস্কারের প্রতিটি ধাপ জনগণের মতামতের ভিত্তিতে হতে হবে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সেক্রেটারি সাইফুল হক সরাসরি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ বর্তমান সংকটকে আরও জটিল করে তুলবে। তিনি উপদেষ্টাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের কথা উল্লেখ করেন এবং করিডোর ও বন্দর ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানান। তার মতে, এক মাসের মধ্যেই সংস্কার করে একটি জাতীয় সনদের খসড়া তৈরি করা সম্ভব।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা সবার মতকে সম্মান করছেন, তবে পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জিং।’ তিনি ‘জুলাই সনদ’কে দ্রুত জাতীয় সনদ হিসেবে প্রকাশের আহ্বান জানান। পাশাপাশি বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা যেন না হয়—সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দৃঢ় অবস্থানকে স্বাগত জানান।
সাকি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে কিছু বিতর্কিত উপদেষ্টা স্বেচ্ছায় সরে যেতে পারেন। তবে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তিনি থাকছেন বলেই আলোচনার জায়গা তৈরি হয়েছে।’
এবি পার্টির মুখপাত্র মজিবুর রহমান মঞ্জু ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান এবং একটি রোডম্যাপ চূড়ান্ত করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বোঝাপড়া তৈরির আহ্বান জানান।
ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি রেজাউল করীম বলেন, “আমরা আশা করি, মৌলিক সংস্কার ও নির্বাচনী রোডম্যাপ পাবো। মাঝপথে দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন না।”
খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের অন্তত কিছু মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে হবে।” করিডোর ও বন্দরের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানান তিনি।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, “নির্বাচনের জন্য নির্দিষ্ট মাস ঘোষণা করুন। বিতর্কিত উপদেষ্টাদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিন এবং সামরিক বাহিনীসহ পুরো প্রশাসনের আস্থা অর্জন করুন।” তিনি অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বিদেশি চাপ ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষার আহ্বান জানান।
এর আগে শনিবার বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, জাতীয় নির্বাচন ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে, এ সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়েছে জামায়াত ও এনসিপি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক সংকট নিরসনে বিচার, সংস্কার ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন—এই তিনটি দিকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে।
-জাতীয় সনদ, নির্দিষ্ট নির্বাচনী সময়সীমা, বিচার ও প্রশাসনিক সমন্বয়
-রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠন ও বিদেশি প্রভাব মোকাবিলার আহ্বান
-প্রধান উপদেষ্টার প্রতি এখনো অধিকাংশ নেতার আস্থা বিদ্যমান
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ