শিরোনাম
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:০৫, ৫ মে ২০২৫ | আপডেট: ১১:০৬, ৫ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) রবিউল ইসলাম জানান, হামলার পরপরই দোষীদের শনাক্ত ও আটকে পুলিশের একাধিক দল অভিযানে নামে। অভিযানের ধারাবাহিকতায় রাতভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয। তিনি জানান, এনসিপির পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ (এজাহার) দিলে মামলা করা হবে।
সকালে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার নাজমুল করিম খান গণমাধ্যমকে বলেন, যে সরকারকে তারা বিদায় করেছেন, সেই সরকারের লোকজনই এই হামলার সঙ্গে জড়িত। তারা নানা ইস্যু তৈরি করার জন্য এই হামলা করেছে। তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর থেকে পুলিশের একাধিক দল হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে অভিযান পরিচালনা করছে। এখন পর্যন্ত ৫৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনার পরপই জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করে। অভিযান চালিয়ে তাৎক্ষণিক মহানগরীর বাসন এলাকা থেকে গাজীপুর মহানগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা নিজাম উদ্দিন ও কাশিমপুর থানা শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি মাসুম আহমেদ ওরফে দিপুকে আটক করা হয়। পরে রাতভর পুলিশ গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫৪ জনকে আটক করে।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহিদ হাসান রবিবার রাতে বলেন, সালনার গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় যানজটে আটকে থাকা অবস্থায় চার-পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে এসে তার গাড়িতে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। হামলায় তিনি হাতে আঘাত পান এবং গাড়ির গ্লাস ও উইন্ডশিল্ড ভেঙে যায়।
তিনি বলেন, হামলায় হাসনাতের গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেলে তার কনুইয়ের কয়েক জায়গায় কেটে যায়। জাহিদ হাসান বলেন, দ্রুততম সময়ে ওই স্থান ত্যাগ করে হাসনাতের গাড়িবহর বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) ক্যাম্পাসে আশ্রয় নেয়। পরে তার কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে তাকে উত্তরা পূর্ব থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পুলিশের আরেকটি গাড়ি দিয়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে তাকে নিরাপদে ঢাকায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
রবিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ