শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫১, ৫ মে ২০২৫ | আপডেট: ১২:২৪, ৫ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে জানা গেছে, শাপল চত্বরের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি পল্টন মডেল থানায় ৩৬টি মামলা হয়েছে। এগুলোর ২২টিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। অপর ১৪টি তদন্তাধীন রয়েছে। মতিঝিল থানায় করা ছয়টি মামলার মধ্যে দুটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। অপর দুটি তদন্তাধীন ও দুটি মামলায় উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে। রমনা মডেল থানার দুই মামলার মধ্যে একটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা হয়েছে। অপর মামলাটি তদন্তাধীন। এ ছাড়া শাহবাগ থানার চার মামলা তদন্তাধীন আছে।
ওই সমাবেশে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয় গত ১৮ আগস্ট। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) জাকী আল ফারাবীর আদালতে এই মামলার আবেদন করেন বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মতিঝিল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। এ ছাড়া গত ২৬ নভেম্বর একই অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনকে আসামি করা হয়।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, এই মামলাগুলো রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। পরে আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলা নিষ্পত্তি করেছেন। কিছু মামলা তদন্তাধীন। সেগুলো তদন্ত করে নিষ্পত্তি করা হবে।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ৫ ও ৬ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের গণহত্যার নির্দেশদাতা ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নির্দেশেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কতজন আলেমকে হত্যা করেছে তা সঠিকভাবে নিরূপণ করা তখন সম্ভব হয়নি। কারণ আমরা তখন সেই পরিবেশ পাইনি।
মাওলানা আজিজুল ইসলাম ইসলামাবাদী বলেন, অর্ধশত অপরাধী যারা এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আরো যারা অপরাধী তাদর আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা দাবি উত্থাপন করেছি।
এদিকে সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচালিত অপারেশনে ঠিক কতজন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন- তার সঠিক সংখ্যা এখনো নির্ণয় করতে পারেনি সংগঠনটি। তবে প্রাথমিক খসড়া তালিকায় ৯৩ জন নিহতের কথা বলেছে হেফাজত। তথ্য যাচাই বাছাই শেষে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। যদিও নিহত ৬১ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন, অধিকার।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ