শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১:৪১, ২০ জুন ২০২৫ | আপডেট: ২২:৩৮, ২০ জুন ২০২৫
আরাগচি বলেন, ‘ইসরায়েল জাতিসংঘ সনদের ২(৪) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে উসকানিমূলক আগ্রাসন চালিয়েছে। ১৩ জুন প্রথম প্রহর থেকেই ইরানের জনগণের ওপর অন্যায় যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ইসরায়েল ছুটিতে থাকা সেনা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, এমনকি সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধেও বেআইনি ও অপরাধমূলক হামলা চালিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সহকর্মী ইরানিরা এই আকস্মিক সশস্ত্র হামলায় নিহত ও আহত হয়েছেন। লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে আবাসিক ভবন, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সরকারি অবকাঠামো এমনকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পারমাণবিক স্থাপনাও।’
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে গুরুতর যুদ্ধাপরাধ।’ তিনি জানান, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ১৫ জুন একটি আশাব্যঞ্জক চুক্তির উদ্দেশ্যে বৈঠক নির্ধারিত ছিল, যেখানে ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হতো।
‘কূটনৈতিক আলোচনার প্রাক্কালে এই হামলা ছিল আন্তর্জাতিক কূটনীতির ওপর সরাসরি আঘাত, যা জাতিসংঘ ব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে’ যোগ করেন আরাগচি।
ইরান-ইসরায়েলের চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইউরোপ সফরে আছেন আরাগচি। আজ ইউরোপের তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই বৈঠকের মাধ্যমে কূটনৈতিক সমাধানের আশার আলো দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ঘিরে উদ্ভূত সংকটের কূটনৈতিক সমাধানে আগামী দুই সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইরানে সম্ভাব্য সামরিক হামলার প্রাথমিক পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে এখনো হামলা শুরু নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি তিনি।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেন, “এই সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আগামী দুই সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখনই সময়, কূটনীতি কাজে লাগানোর।”
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ