ঢাকা, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

৭ আষাঢ় ১৪৩২, ২৪ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

কর্মস্থলে নেই শরীয়তপুরের ডিসি আশরাফ উদ্দিন

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:৫০, ২১ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১২:৪০, ২১ জুন ২০২৫

কর্মস্থলে নেই শরীয়তপুরের ডিসি আশরাফ উদ্দিন

ছবি: সংগৃহীত

এক নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে কর্মস্থল ছেড়েছেন শরীয়তপুরের ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন। শুক্রবার (২০ জুন) থেকে তিনি শরীয়তপুর জেলায় নেই। 

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মাসুদুল আলম বলেন, ‌‘শুক্রবার বিকাল থেকে তিনি শরীয়তপুর জেলায় নেই। কোথায় গেছেন জানি না।’ 

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব কাকে দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এডিসি (সার্বিক) বলতে পারবেন। তাকে জিজ্ঞাসা করেন।’

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, আশরাফ উদ্দিন এখন শরীয়তপুরে নেই। তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিনের সঙ্গে এক নারীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষের মাঝে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

ভিডিওটিতে জেলা প্রশাসককে এক নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যায়। টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়ে ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপটি। 

ভুক্তভোগী নারী গণমাধ্যমকে জানান, জেলা প্রশাসক তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং তার দাম্পত্য জীবন নষ্ট করেন। তার অভিযোগ, ‘তিনি আমার স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স করিয়ে সম্পর্ক গড়েন। এখন বিয়ের কথা অস্বীকার করে হুমকি দিচ্ছেন।’

জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে ডিসি শরীয়তপুর ত্যাগ করেন বলে শুনেছি।’

প্রবাসী সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওটি প্রকাশ করেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ডিসি নিজেই এই ছবি ও ভিডিও তুলেছেন। ওই নারীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরে তা অস্বীকার করেন।’

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। একজন জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে এমন আচরণ কাম্য নয়। এই ভিডিওতে জেলার সম্মান প্রশ্নের মুখে পড়েছে।’

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, আশরাফ উদ্দিন ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ২৭তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। এর আগে তিনি নিউরো-ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী ট্রাস্টের পরিচালক ছিলেন।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো তদন্ত কমিটি গঠিত হয়নি। তবে প্রশাসনের উচ্চমহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন