শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬:৪৪, ২১ জুন ২০২৫
চলমান সংকটের কেন্দ্রে রয়েছে কলেজের অ্যাকাডেমিক ভবন ও ছাত্রাবাসগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা। শিক্ষার্থীরা জানায়, বিশেষ করে ফজলে রাব্বি ছাত্রাবাসের তৃতীয় তলায় পলেস্তারা খসে পড়া, জানালার ভাঙা কাচ এবং গ্রিল ভেঙে আহত হওয়ার ঘটনা তাঁদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। গণপূর্ত বিভাগ ইতোমধ্যে ভবনটিকে 'বসবাসের অনুপযোগী' ও 'পরিত্যক্ত' ঘোষণা করলেও শিক্ষার্থীরা এখনও সেখানে থাকছেন।
এই পরিস্থিতিতে গত ২৮ মে থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। নবীন ব্যাচ কে-৮২ তাদের সিনিয়রদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে অরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানও বর্জন করে।
এক বিবৃতিতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের দাবির যৌক্তিকতা তারা মেনে নিয়েছে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের সঙ্গে সমন্বয় করে ইতোমধ্যেই কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে প্রশাসনের অভিযোগ, বিকল্প আবাসন দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীদের অসহযোগিতার কারণে পরিত্যক্ত ভবন খালি করা যায়নি।
প্রশাসনের মতে, শিক্ষার্থীদের অনড় অবস্থান, অরিয়েন্টেশন বর্জন এবং ভবন খালি করতে অপারগতা পুরো শিক্ষা কার্যক্রমে অচলাবস্থা তৈরি করেছে। এতে মেডিক্যাল কলেজের অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল পরিদর্শনও অন্যত্র স্থানান্তর করতে হয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানটির জন্য বড় ধাক্কা।
নতুন ঘোষণার আওতায় থাকছে না পেশাগত এমবিবিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা এবং বিদেশি শিক্ষার্থীরা। তবে বাকিদের আগামীকাল দুপুরের মধ্যে হোস্টেল ছেড়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যশিক্ষার সবচেয়ে পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ। এমন সংকট, যেখানে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং ভবনগুলোকে মৃত্যুফাঁদ হিসেবে বর্ণনা করা হয়, তা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। এখন দেখার বিষয়— প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা কত দ্রুত সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ