শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:৩৬, ২১ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৩৮, ২১ জুন ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
শুক্রবার (২০ জুন) বিকাল থেকে ফেসবুকে আওয়ামী লীগের কমিটিতে থাকা মান্নান মিয়ার একটি তালিকা ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান মিয়াকে একই ওয়ার্ডে বিএনপির সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গত ১৭ জুন বড়কান্দা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ওয়ার্ড বিএনপির এক সভায় উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুল অদুদ মুন্সির উপস্থিতিতে তাকে এ পদে মনোনীত করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহফুজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মমিন মেম্বারসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা।
সভা চলাকালে হঠাৎ যখন উপজেলার নেতারা মান্নান মিয়াকে সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন তখন উপস্থিত নেতাকর্মীদের অনেকে হতবাক হয়ে পড়েন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতা জানান, হামলা-মামলা সহ্য করে দলের পাশে ছিলেন তারা। অথচ ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করে এক সময়কার আওয়ামী লীগ নেতাকে বিএনপির দায়িত্ব দেওয়া তাদের জন্য লজ্জার। এটি দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সঙ্গে অবিচার। এ ছাড়া যাদের কারণে অতীতে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তারাই আজ দলের নেতৃত্বে চলে আসছেন। এতে শুধু আত্মসম্মানই ক্ষুণ্ন হচ্ছে না, সাধারণ মানুষের কাছে দলের ভাবমূর্তি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।
নেতাকর্মীদের দাবি, বিএনপিতে এমন অনেক ত্যাগী, পরীক্ষিত ও যোগ্য নেতা রয়েছেন, যারা প্রকৃত অর্থে নেতৃত্বের যোগ্য। কিন্তু বারবার বিতর্কিত ব্যক্তিদের পদ দেওয়ায় মাঠপর্যায়ে অসন্তোষ বাড়ছে।
তৃণমূল বিএনপির নেতারা মনে করছেন, এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ ঐক্য বিনষ্ট করতে পারে। একই সঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক ভারসাম্যেও প্রভাব পড়তে পারে। তারা এই ইস্যুতে বিএনপির সিনিয়র নেতৃত্ব কী অবস্থান নেয় তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন।
আওয়ামী লীগ নেতা থেকে কীভাবে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হলেন, এ বিষয়ে জানতে আব্দুল মান্নান মিয়ার মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মেঘনা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল অদুদ মুন্সি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বদৌলতে বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। অনুসন্ধান চলছে। যদি প্রমাণিত হয় আব্দুল মান্নান মিয়া আওয়ামী লীগের লোক তাহলে এই কমিটি বাতিল করে পুনরায় কমিটি গঠন করা হবে।
কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এএফম তারেক মুন্সি বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। খোঁজ নিয়ে সত্য হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ