শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:৫০, ২০ জুন ২০২৫
দলের সভাপতি হয়েছেন সাবেক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. মেহেদী হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন মেজর (অব.) মো. রাজিবুল হাসান। সবচেয়ে আলোচিত নাম হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আছেন সেলিম প্রধান, যিনি ২০১৯ সালে অনলাইনে ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড শেষে ২০২৪ সালে কারামুক্ত হন তিনি।
দলীয় কাঠামো ও নেতৃত্ব
বিআরপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে বেশিরভাগ সদস্যই সাবেক সামরিক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। কিছু উল্লেখযোগ্য নাম:
সিনিয়র সহসভাপতি: সাঈদ আলী সিকদার
সহসভাপতি: ক্যাপ্টেন (অব.) শফিকুল ইসলাম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ইমরান
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: লেফটেন্যান্ট (অব.) সাইফুল্লাহ খান, সাজ্জাদ হোসেন ইউনুস
সাংগঠনিক সম্পাদক: মেজর (অব.) রাকিবুল হাসান
নারী ও শিশুবিষয়ক সম্পাদক: আনিকা তাসনীম খান
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন, ত্রাণ, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বিষয়ক সম্পাদকীয় পদেও আছেন সামরিক ও বেসামরিক পেশাজীবীরা।
দলের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে— ‘সবার উপরে দেশ’। সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, “ভোটের রাজনীতি নয়, আমরা জনগণের রাজনীতি করতে এসেছি। আমরা বাংলাদেশপন্থী রাজনীতিতে বিশ্বাস করি— কোনো দিল্লিপন্থী, পিন্ডিপন্থী বা নিউইয়র্কপন্থী নই। যাঁরা আমাদের সঙ্গে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পর্ক স্থাপন করবে, তারাই আমাদের বন্ধু।”
দলের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ইউনুস। সেখানে বলা হয়, “ঐতিহাসিক ’৪৭, ’৭১ এবং সাম্প্রতিক ’২৪-এর গণ–অভ্যুত্থানের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি গঠিত হয়েছে।”
ঘোষণাপত্রে আরও জানানো হয়, দলটি হবে একটি জাতীয়তাবাদী শক্তি, যার পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারিত হবে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও মর্যাদাভিত্তিক সম্পর্কের ভিত্তিতে।
‘নতুন রাজনৈতিক মঞ্চ’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ
বক্তব্যে দলটির নেতারা বলেন, বিআরপি শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, বরং এটি হবে “একটি নতুন রাজনৈতিক মঞ্চ”, যেখানে ক্ষমতা লাভ নয়— সামষ্টিক কল্যাণ, সুবিচার ও নাগরিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠাই হবে মূল লক্ষ্য।
পটভূমি ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সামরিক বাহিনীর সাবেক সদস্যদের সংগঠিত ভূমিকাকে ঘিরে বিআরপির আত্মপ্রকাশ বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের কথিত ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’–এর প্রসঙ্গ, যাকে দলটির নেতা-কর্মীরা ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াই হিসেবে অভিহিত করছেন, সেটিকে দলীয় পরিচয়ের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ