ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

৪ আষাঢ় ১৪৩২, ২১ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

জামায়াতের ‘বেশি সুযোগ’-এর অভিযোগে সংলাপ থেকে ওয়াকআউট

নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশ: ১৮:২৯, ১৮ জুন ২০২৫

জামায়াতের ‘বেশি সুযোগ’-এর অভিযোগে সংলাপ থেকে ওয়াকআউট

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে জামায়াত ইসলামীর প্রতিনিধিদের ‘অতিরিক্ত সুযোগ’ দেওয়ার অভিযোগ তুলে ওয়াকআউট করেছেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. মিজানুর রহমান, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এবং ১২-দলীয় জোটের সমন্বয়ক শাহাদাত হোসেন সেলিম। তবে আয়োজকদের আশ্বাসে কিছুক্ষণ পর তাঁরা আবার সংলাপে ফিরে যান।

বুধবার (১৮ জুন) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সংলাপস্থলে এ ঘটনা ঘটে। জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বক্তব্য শেষ করার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমদ তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। এ সময় ড. মিজানুর রহমান প্রতিবাদস্বরূপ কক্ষ ত্যাগ করেন। তাঁর পেছন-পেছন বেরিয়ে আসেন রুহিন হোসেন প্রিন্স ও শাহাদাত হোসেন সেলিম।

সংলাপ কক্ষের বাইরে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ড. মিজানুর রহমান ও রুহিন হোসেন প্রিন্স। তারা অভিযোগ করেন, জামায়াতের তিনজনকে দীর্ঘ বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হলেও অন্যদের কথা বলায় বাধা দেওয়া হয়েছে।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর তিনজন প্রতিনিধিকে একের পর এক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অথচ আমরা কথা বলতে গেলে বাধা পেয়েছি। তাই আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। পরে কমিশনের পক্ষ থেকে আশ্বাস পাওয়ায় আমরা আবার সংলাপে ফিরে যাই।’

১২-দলীয় জোটের সমন্বয়ক শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘আমি জামায়াত নেতার বক্তব্যের সময় বলেছিলাম— বিষয়টা প্রাসঙ্গিক নয়। তখন তিনি আমাকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কতজনকে প্রতিনিধিত্ব করেন?’ এটা খুবই অশোভন আচরণ। এরপরই আমরা সংলাপ কক্ষ ত্যাগ করি।’

তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত উদ্যোগ নেয় কমিশন। ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার ক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আবারও সংলাপ কক্ষে ফিরিয়ে নিয়ে যান।

জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে আয়োজিত এ সংলাপে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন। তবে সংলাপের শুরু থেকেই জামায়াতকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ

আরও পড়ুন