ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

৪ আষাঢ় ১৪৩২, ২১ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

হোয়াইট হাউসে যাওয়ার দাবি নাকচ করে দিয়েছে ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২২:১৯, ১৮ জুন ২০২৫

হোয়াইট হাউসে যাওয়ার দাবি নাকচ করে দিয়েছে ইরান

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি—ইরানের আলোচকেরা ‘হোয়াইট হাউসে আসার’ ইঙ্গিত দিয়েছেন—এটি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তেহরান। ইরানের জাতিসংঘ মিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কোনো ইরানি কর্মকর্তা কখনও হোয়াইট হাউসের দরজায় মাথা নত করেনি, আর ভবিষ্যতেও করবে না।

বুধবার (১৮ জুন) আল–জাজিরায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরান বলেছে, ট্রাম্পের বক্তব্য শুধু মিথ্যাচার নয়, বরং তার দেওয়া ‘কাপুরুষোচিত হুমকি’ আরও ঘৃণ্য। ইরান অভিযোগ করেছে, ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন, যা আন্তর্জাতিক কূটনীতির পরিপন্থী।

ইরানি মিশনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "ইরান কখনো জোর-জবরদস্তির মাধ্যমে আলোচনায় বসে না এবং কোনো চাপিয়ে দেওয়া শান্তিচুক্তি গ্রহণ করে না।"

অন্যদিকে, হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “ইরানের কিছু আলোচক আমাকে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তারা হোয়াইট হাউসে আসতে পারে।” যদিও তিনি এটিকে ‘কঠিন বিষয়’ বলে উল্লেখ করেন।

ট্রাম্প আরও বলেন, “দুটি সহজ শব্দ—নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ। আমি আর সহ্য করব না।” তিনি দাবি করেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে এবং দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে।

ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একাধিক বার্তা দেন, যেখানে তিনি সরাসরি বলেন, “নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ!”—এই শব্দগুচ্ছই এখন ইরানের জন্য প্রযোজ্য।

একটি পোস্টে ট্রাম্প আরও দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র জানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি কোথায় অবস্থান করছেন। তার ভাষায়, “তিনি একটি সহজ লক্ষ্যবস্তু, তবে এখনই আমরা তাকে হত্যা করব না।” এসময় তিনি হুঁশিয়ারি দেন, “আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে।”

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে সামান্য উত্তাপেই সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবু ইরানের অবস্থান স্পষ্ট—চাপের মুখে কোনো সমঝোতা নয়।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ

আরও পড়ুন