ঢাকা, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

৪ আষাঢ় ১৪৩২, ২১ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

খামেনির হুঁশিয়ারি

চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ কিংবা শান্তি—কোনোটিই মেনে নেবে না ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯:২৯, ১৮ জুন ২০২৫

চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ কিংবা শান্তি—কোনোটিই মেনে নেবে না ইরান

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো সামরিক হস্তক্ষেপ তাদের জন্য “নিঃসন্দেহে অপূরণীয় ক্ষতির” কারণ হবে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইরানি জাতি চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ কিংবা শান্তি—কোনোটিই মেনে নেয় না এবং কখনো কারও কাছে আত্মসমর্পণও করে না।

বিবৃতিটি খামেনির নিজ কণ্ঠে ছিল না, বরং রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের উপস্থাপক তা পাঠ করে শোনান। এতে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “ইরান, এর জনগণ এবং ইতিহাস সম্পর্কে যাঁরা জানেন, তাঁরা কখনো হুমকির ভাষায় কথা বলেন না। কারণ ইরানিরা আত্মসমর্পণ করে না।”

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো এমন সময় ঘটেছে, যখন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি আলোচনায় ছিল এবং ইরান কোনো সামরিক বা কৌশলগত উত্তেজনার লক্ষণও দেখায়নি। তবুও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

আয়াতোল্লাহ খামেনি বলেন, “শুরু থেকেই এটা সন্দেহ করা হচ্ছিল যে জায়নবাদী (ইহুদি) সরকারের যেকোনো পদক্ষেপের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে। সাম্প্রতিক মার্কিন বিবৃতিগুলো সেই সন্দেহকেই আরও জোরালো করেছে।”

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “ইহুদিবাদী শত্রুকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে এবং ইরানের জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনী সে শাস্তি দিতে প্রস্তুত।”

এর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র আয়াতোল্লাহ খামেনির অবস্থান সম্পর্কে অবগত, তবে তাকে হত্যার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। ট্রাম্পের এই বক্তব্যের পরই ইরানের রেভ্যলিউশনারি গার্ড টেলিগ্রামে এক পোস্টে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায়।

তারা বলে, “আমেরিকার এই মিথ্যাবাদী প্রেসিডেন্টের জানা উচিত, ইরান সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আর এই পরিস্থিতি শুধুমাত্র আমেরিকার স্বার্থ নয়, বরং সমগ্র পশ্চিমা স্বার্থকে পুড়িয়ে ছারখার করে দেবে।”

আয়াতোল্লাহ খামেনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এবং যারা এই অঞ্চলের রাজনীতিকে জানে, তারা ভালো করেই বোঝে—এই সংঘাতে আমেরিকার প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ কেবল তাদের নিজেদের ক্ষতির কারণ হবে। এমন ক্ষতি, যা তারা সহজে পূরণ করতে পারবে না।”

তিনি আরও বলেন, “ইরানের ওপর কোনো হামলা চালালে যে প্রতিক্রিয়া আসবে, তা শুধু প্রতিশোধ নয়, বরং একটি বড় ধরনের আঘাত হবে। আর সেই আঘাত আমেরিকার জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর হবে, যতটা ক্ষতি ইরান সইতে পারে।”

ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ

আরও পড়ুন