শিরোনাম
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:৪১, ১৮ জুন ২০২৫
প্রথমে রান-বন্যা, এরপর হঠাৎ উইকেটের ধস—গল টেস্টের দ্বিতীয় দিন যেন নাটকীয়তার প্যাকেজ! প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটে ৪৫৮ রান তুলে যখন বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড ঝকঝক করছিল, তখনই হঠাৎ ছন্দপতন। বৃষ্টির পর যেন বদলে যায় গলের চরিত্র। আর সেই সুযোগে বলের মুভমেন্ট কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে আঘাত হানে শ্রীলঙ্কার পেস আক্রমণ।
দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান। অথচ দিনের শুরুতে তিন উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে স্বপ্ন দেখছিল পাঁচ শ ছাড়িয়ে যাওয়ার, এমনকি ৬০০ রানের। তবে শেষ ২৬ রানে ৫ উইকেট হারানোয় এখন শঙ্কা, স্কোর আদৌ ৫০০ ছুঁতে পারবে তো?
দিনের সপ্তম ওভারেই বড় ধাক্কা আসে—আসিতার প্রথম বলেই ফিরতে হয় ১৪৮ রানে থাকা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে। এরপর ব্যাটিং হাল ধরেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। এই জুটিতে আসে ১৪৯ রান। মুশফিক তুলে নেন ক্যারিয়ারের আরেকটি দুর্দান্ত ইনিংস—৩৫০ বল খেলে করেন ১৬৩ রান, ৯টি বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি। কিন্তু ডাবল সেঞ্চুরির স্বপ্ন জাগিয়েও বৃষ্টির পর এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন আসিতা ফার্নান্দোর বলে।
এরপরই ধস। মুশফিকের বিদায়ের পর ১২৩ বলে ৯০ রান করা লিটনও হন তারিন্দু রত্নায়েকের শিকার। বল ব্যাটের কানায় লেগে কুশল মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
বৃষ্টির পরপরই বলের সুইং কাজে লাগিয়ে রীতিমতো আগুন ঝরান মিলান রত্নায়েক। টানা তিন উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন তিনি। জাকের আলী (৮), নাঈম হাসান (১১) ও তাইজুল ইসলাম (৬) কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেননি। শেষ দিকে হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানাকে নিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। রানে খাতা খোলেননি কেউই।
বাংলাদেশের ইনিংস ভাঙতে সবচেয়ে বড় অবদান পেসারদের। মিলান, আসিতা ও তারিন্দু—তিনজনই নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। গলের ফ্ল্যাট উইকেট যে আবহাওয়ার কারণে আচরণ বদলাতে পারে, সেটিই প্রমাণ হলো আজকের দিনে।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৯ উইকেটে ৪৮৪ (মুশফিক ১৬৩, শান্ত ১৪৮, লিটন ৯০; মিলান ৩/৫৭, আসিতা ৩/৮৮, তারিন্দু ৩/৭৪)
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ