শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২২:৪৮, ১৮ জুন ২০২৫
১৯৯২ সালে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটের এক অধিবেশনে নেতানিয়াহু প্রথমবারের মতো দাবি করেন, ইরান তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে পরমাণু বোমা বানাতে পারবে। এরপর ১৯৯৫ সালে নিজের লেখা ‘ফাইটিং টেরোরিজম’ বইয়েও একই আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
এরপর থেকে প্রায় প্রতি দশকেই তিনি একই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। ১৯৯৬ সালে মার্কিন কংগ্রেসে, ২০০২ সালে কংগ্রেশনাল শুনানিতে, ২০০৯ সালে উইকিলিকস ফাঁস হওয়া মার্কিন বার্তায়, এমনকি ২০১২ সালে জাতিসংঘের অধিবেশনে একটি কার্টুন বোমা দেখিয়েও তিনি দাবি করেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির একেবারে দ্বারপ্রান্তে।
তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ইরান এখনো কোনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করেনি। উল্টো, ২০২৫ সালের গোড়ার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক প্রকাশ্যে বলেন, ইরান এমন কোনো অস্ত্র তৈরির পথে নেই।
তবুও নেতানিয়াহুর বার্তায় কোনো পরিবর্তন নেই। সম্প্রতি ইসরায়েল যখন ইরানের ওপর সরাসরি হামলা চালায়, তখনও তিনি বলেন, ‘ইরান কয়েক মাস বা সপ্তাহের মধ্যেই পরমাণু অস্ত্র বানিয়ে ফেলতে পারে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নেতানিয়াহুর এসব বার্তা বাস্তব গোয়েন্দা তথ্যের চেয়ে বরং কূটনৈতিক চাপ ও আন্তর্জাতিক সহানুভূতি অর্জনের উদ্দেশ্যেই বারবার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। তাঁর এই দীর্ঘস্থায়ী সতর্কতা অনেক সময়ই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ার, কিংবা মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের নিরাপত্তা উদ্বেগ তুলে ধরার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
তবে সময় যতই এগিয়েছে, ইরান–ইসরায়েল উত্তেজনা নতুন রূপ নিচ্ছে—এবং নেতানিয়াহুর পুরোনো বার্তাগুলোর বাস্তবতা নিয়ে উঠছে নতুন করে প্রশ্ন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ