শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬:৫৫, ১৮ জুন ২০২৫
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাই-যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসনসহ গণঅভ্যুত্থানের মর্ম ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করা এবং ইতিহাস সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে প্রণীত অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এ স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, সেই সময়ের ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী বা সরকারের নিয়ন্ত্রিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলায় আহত ছাত্রজনতাই কেবল ‘জুলাই-যোদ্ধা’ হিসেবে বিবেচিত হবেন।
তবে অধ্যাদেশে কঠোরভাবে উল্লেখ করা হয়েছে— যদি কেউ মিথ্যা তথ্য, ভুয়া কাগজপত্র বা বিভ্রান্তিকর উপায়ে নিজেকে ‘জুলাই-যোদ্ধা’ হিসেবে দাবি করে বা কোনও ধরনের সুবিধা গ্রহণ করে, তাহলে তাকে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড—অথবা যেকোনও গ্রহণকৃত সহায়তার দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থদণ্ড— প্রদান করা হবে।
এই আইনে বলা হয়েছে, ‘জুলাই-যোদ্ধা’ হিসেবে ভুয়া পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা সুবিধা, আর্থিক সহায়তা বা পুনর্বাসন সুবিধা দাবি করা কিংবা নেওয়া হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যদিও এসব অপরাধ অ-আমলযোগ্য ও জামিনযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।
অধ্যাদেশে আন্দোলনের শহীদ পরিবার ও আহতদের কল্যাণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য একটি কাঠামোগত রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে, যা একে প্রথমবারের মতো একটি আনুষ্ঠানিক ও আইনগত স্বীকৃতি দেয়।
বিশ্লেষকদের মতে, এই উদ্যোগ শুধু ইতিহাসকে মূল্যায়নই নয়, বরং দীর্ঘদিনের আন্দোলনকারী ও ভুক্তভোগীদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতার প্রকাশ। তবে এর অপব্যবহার রোধে কঠোর শাস্তির বিধান এই অধ্যাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ