ঢাকা, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

৪ আষাঢ় ১৪৩২, ২১ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

ঢাকায় তারেক রহমানের ‘নতুন ঠিকানা’

নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশ: ১৫:২৬, ১৮ জুন ২০২৫

ঢাকায় তারেক রহমানের ‘নতুন ঠিকানা’

১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন  বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রাজধানীর গুলশানের একটি অভিজাত বাড়িতে ওঠার প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। গুলশান-২ এর শেষ প্রান্তে এভিনিউ ১৯৬ নম্বরের বাড়িটি এখন পুরোপুরি প্রস্তুত বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

দুইতলা সাদা রঙের ওই বাড়িটিতে রয়েছে তিনটি বেডরুম, ড্রয়িং, ডাইনিং ও লিভিং স্পেস ছাড়াও একটি সুইমিং পুল ও প্রশস্ত খোলা জায়গা। সাজসজ্জা ও সংস্কারের কাজ শেষ হওয়ার পর সেটি এখন তারেক রহমান ও তাঁর পরিবারের থাকার উপযোগী হয়ে উঠেছে।

সূত্র জানায়, জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি চূড়ান্ত হলে দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। বর্তমানে তিনি স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানসহ লন্ডনে অবস্থান করছেন। জুবাইদা রহমান কিছুদিন আগে বাংলাদেশে এসে নিজে বাড়িটি ঘুরে দেখে গেছেন।

দেড় বিঘা জমির ওপর নির্মিত বাড়িটি ১৯৮০-এর দশকে বিচারপতি আবদুস সাত্তারের সরকারের সময় খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এতদিন বাড়িটি তাঁর ব্যবহারাধীন থাকলেও নামজারি হয়নি। চলতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ৪ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে নামজারির কাগজ খালেদা জিয়ার হাতে তুলে দেয়।

এর আগে, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর সিইও এই বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন। ছয় মাস আগে তিনি সেটি ছেড়ে দিলে তারেক রহমানের জন্য বাড়িটিকে উপযোগী করে তোলার কাজ শুরু হয়।

‘ফিরোজা’ নামে খালেদা জিয়ার যে ভাড়া বাসাটি গুলশানে রয়েছে, এটি এই নতুন বাড়িটির ঠিক পাশেই। নতুন বাসাটি মূলত তাঁর দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক ও পারিবারিক আবাস হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেই দলীয় সূত্রগুলো বলছে।

এর আগে খালেদা জিয়ার জন্য সেনানিবাসে প্রায় ৯ বিঘা জমির ওপর একটি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ১৯৮১ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এই বরাদ্দ দেন। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাড়িটি খালি করতে নির্দেশ দেওয়া হয় এবং ২০১০ সালের ডিসেম্বরে শহীদ মঈনুল হোসেন রোডের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়াকে উচ্ছেদ করা হয়। এরপর তিনি কিছুদিন ভাই শামীম এস্কান্দারের বাড়িতে থেকে ২০১২ সালের ২১ এপ্রিল গুলশানের ‘ফিরোজা’য় ওঠেন।

২০০৭ সালের ৭ মার্চ ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় তারেক রহমান গ্রেপ্তার হন। পরের বছর ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান এবং ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডন চলে যান। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান তারেক রহমান। তখন থেকেই তিনি লন্ডন থেকেই দলের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন।

দলের শীর্ষ নেতারা বলছেন, দেশে ফেরার প্রস্তুতি অনেকটাই চূড়ান্ত পর্যায়ে। গুলশানের বাড়িটি সেই প্রত্যাবর্তনের প্রাথমিক কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ

আরও পড়ুন