শিরোনাম
রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮:০৫, ২১ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১৮:৪৮, ২১ জুন ২০২৫
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাষ্ট্র সংস্কার কৃষক আন্দোলন বাগমারা শাখার আহ্বায়ক ও মোহনপুর কলেজের প্রভাষক মো. আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাগমারার নিমাই বিলে প্রভাবশালী একটি মহল সন্ত্রাসী কায়দায় জোরপূর্বক প্রায় ৬০ বিঘা কৃষি জমিতে পুকুর খনন করছে। আমরা ৪-৫ মাস ধরে প্রশাসনকে মানববন্ধন ও স্মারকলিপির মাধ্যমে বিষয়টি জানালেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা ও হাইকোর্টে রিট দায়ের করতে হয়েছে। তবুও খনন কাজ বন্ধ হয়নি, বরং ঈদ-উল-আজহার ছুটিকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে রাতের আঁধারে ৭টি স্কেভেটর মেশিন দিয়ে খনন তীব্রভাবে চালিয়ে যাচ্ছে ভূমিদস্যুরা।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রশাসনের নিরবতায় কৃষকদের চাষাবাদ ও জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে।
১. অবিলম্বে কৃষি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করে দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
২. চিহ্নিত ভূমিদস্যুদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
৩. পুলিশ, এসি-ল্যান্ড, ইউএনও-সহ যারা সহযোগিতা করেছে তাদের অপসারণ ও শাস্তি নিশ্চিত করা।
৪. কৃষকদের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে দ্রুত ক্ষতিপূরণ প্রদান।
৫. রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় চলমান পুকুর খননের মহোৎসব বন্ধ করা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন নদী ও পরিবেশ গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট হোসেন আলী পিয়ারা, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান আতিক, জুলাই-৩৬ পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদ জামাল কাদেরী ও পরিবেশকর্মী ঈশিতা ইয়াসমিন। তারা বলেন, ‘এই ভূমিদস্যুতা শুধু কৃষি উৎপাদনের ওপর নয়, পুরো পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা এই অপরাধকে আরও উৎসাহিত করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অবৈধ খনন বন্ধে সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এসকে