শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১:১৬, ২১ জুন ২০২৫
নতুন নিহত বিজ্ঞানীর নাম ইসার তাবাতাবেই ঘোমশেহ। তিনি ছিলেন তেহরানের প্রখ্যাত শরীফ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউজলেটারে প্রথম তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, “গত সপ্তাহের শেষের দিকে” নিজ বাড়িতে স্ত্রী মানসুরেহ হাজিসালেমের সঙ্গে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
এর আগে ইরান সরকার আরও নয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল। এঁদের মধ্যে কয়েকজন ছিলেন ইরানের পরমাণু কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনাকারী ও উচ্চপর্যায়ের গবেষক।
নিহত বিজ্ঞানীদের মধ্যে রয়েছেন:
-ফেরেদুন আব্বাসি: ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান।
-মোহাম্মদ মেহেদী তেহরানচি: ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি।
-আব্দুলহামিদ মিনুচেহর, আহমেদ রেজা জোলফাগারি ও আমির হোসেন ফেঘি: শহীদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক।
-আকবর মোতালেবিজাদেহ, আলী বাকি করিমি, মনসুর আসগারি ও সাইদ বোরজি: পরমাণু গবেষণা এবং সামরিক প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
ইসরায়েলের টেলিভিশন চ্যানেল ১২ দাবি করেছে, ‘অপারেশন নার্নিয়া’ নামের এক গুপ্ত অভিযানে তারা প্রথমে একযোগে নয়জন ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করে এবং এরপর আরও একজনকে আলাদাভাবে হত্যা করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ডগুলোর মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে যে ইসরায়েল কেবল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করছে না, বরং এই কর্মসূচির পেছনে থাকা মস্তিষ্কগুলোকে টার্গেট করছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই হামলাগুলো ইরানের বিজ্ঞান ও সামরিক গবেষণাকে দীর্ঘমেয়াদে পেছনে ঠেলে দেওয়ার কৌশল হিসেবেই পরিচালিত হচ্ছে।
তবে এই হত্যাকাণ্ড ইরানি জনগণের ভেতরে গভীর ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই এটিকে জাতীয় সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি হামলা হিসেবে দেখছেন। সরকারি ও বিরোধী ঘরানার বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এই ঘটনাগুলোর নিন্দা জানিয়েছেন এবং জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ