শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১:২৪, ২১ জুন ২০২৫
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে খামেনি ধারণা করছেন, তাকে হত্যা করার চেষ্টা হতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই তিনি ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া আগেভাগেই পরিকল্পনা করে রেখেছেন।
ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খামেনি সম্প্রতি দেশটির অ্যাসেম্বলি অফ এক্সপার্টস—যে ধর্মীয় সংস্থা সর্বোচ্চ নেতাকে মনোনয়ন দেয়—তাদের হাতে তিনজন প্রার্থীর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তুলে দিয়েছেন। এই সংস্থাকে তিনি দায়িত্ব দিয়েছেন, প্রয়োজনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে।
সাধারণত, ইরানে সর্বোচ্চ নেতার পদে একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয় একটি দীর্ঘ ও গোপনীয় প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে, যা কয়েক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তবে বর্তমানে যেহেতু দেশটি কার্যত এক প্রকার যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে, তাই খামেনি চাচ্ছেন, “ক্ষমতা হস্তান্তর যেন দ্রুত, সুশৃঙ্খল ও বিশৃঙ্খলার বাইরে থাকে।”
গুঞ্জন ছিল, আয়াতুল্লাহ খামেনির ছেলে মোজতাবা খামেনিকে হয়তো উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হতে পারে। তবে নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, এই তালিকায় তার নাম নেই। খামেনি নিজেও নাকি চান না, তার ছেলের প্রতি “রাজতান্ত্রিক উত্তরাধিকার” ধারণা তৈরি হোক।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, খামেনির এই পদক্ষেপ কেবল স্বাস্থ্যগত বা বয়সজনিত বিষয় নয়; বরং এর মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক বার্তাও দেওয়া হচ্ছে। তিনি বুঝাতে চাচ্ছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্রের ভবিষ্যৎ অস্থিতিশীল নয়, বরং সুসংগঠিতভাবে চালিত হচ্ছে—even under fire.
এছাড়া যুদ্ধকালীন সময়ে এ ধরনের উত্তরাধিকার পরিকল্পনা ইরানের সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর জন্যও মনোবল বৃদ্ধির বার্তা বহন করে, যাতে তারা জানে—যদি সর্বোচ্চ নেতার কিছু হয়, তাহলেও নেতৃত্বের ফাঁকা জায়গা তৈরি হবে না।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ