শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:৩০, ১৯ জুন ২০২৫
তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাস পাকিস্তান দূতাবাসে কূটনৈতিকভাবে একটি চিঠি দিয়েছে, যেখানে প্রাথমিকভাবে ৯০ জন বাংলাদেশির একটি তালিকা হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এখনও ফেরার প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি পাকিস্তান।
ঢাকা চায়, এসব বাংলাদেশিকে ইরান-পাকিস্তান সীমান্ত হয়ে করাচি, সেখান থেকে দুবাই হয়ে ঢাকা ফেরত আনা হোক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সীমান্ত অতিক্রমের জন্য অনলাইনে ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করার কথা বলা হলেও ইরানে ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত থাকায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বিশেষ বিবেচনায় বিকল্প পদ্ধতিতে প্রবেশাধিকার দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসাইন খান পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ইসলামাবাদের একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান বাংলাদেশিদের ফেরাতে নীতিগতভাবে প্রস্তুত রয়েছে, তবে বিস্তারিত প্রক্রিয়া এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
বর্তমানে তেহরানে প্রায় ৪০০ জন বাংলাদেশি অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ১০০ জন বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এর বাইরে, ইরানের অন্যান্য শহরে আরও ৬০০-এর বেশি স্থায়ীভাবে বসবাসকারী, ৮০০-এর মতো অবৈধভাবে অবস্থানকারী, ২০০-এর বেশি শিক্ষার্থী এবং ৩০০–৫০০ জন মানবপাচারের ট্রানজিট হিসেবে আটকেপড়া বাংলাদেশি রয়েছেন।
তেহরানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের ৪০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তেহরানে আটকে পড়া শিক্ষার্থী, পেশাজীবী ও অন্যান্য বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও সরকারের অগ্রাধিকার।
ইরানে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় আকাশপথে ফেরা সম্ভব নয়। ফলে স্থলপথে ফেরার বিকল্প হিসেবে পাকিস্তান ও তুরস্ক বিবেচনায় রয়েছে। তবে সম্প্রতি পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশ ইরানের সঙ্গে সব সীমান্ত ও ক্রসিং পয়েন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে, যা প্রক্রিয়াটিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যেসব বাংলাদেশির বৈধ কাগজপত্র ও পাসপোর্ট রয়েছে, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। পাকিস্তানে দীর্ঘ সময় অবস্থান না করার নিশ্চয়তা দিয়েও ইসলামাবাদকে সহযোগিতার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ