শিরোনাম
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:২৮, ১৯ জুন ২০২৫ | আপডেট: ২১:৩২, ১৯ জুন ২০২৫
উদারার বিদায়ের পরও নিশাঙ্কা খেলছিলেন যেন টেস্ট নয়, ওয়ানডে ম্যাচ। ৮৮ বলে ফিফটি, ১৩৬ বলে সেঞ্চুরি, এরপর তো ২০১ বলে ১৫০। শেষ পর্যন্ত থামলেন ২৫৬ বল খেলে ১৮৭ রানে। নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। চান্ডিমাল, ম্যাথুস, কামিন্দুরাও যোগ দিলেন রানবন্যায়।
বাংলাদেশের বোলাররা যেন কেবল উইকেটের পাশে দাঁড়িয়ে চেয়ে চেয়ে দেখলেন। উইকেট ব্যাটসম্যানদের পক্ষে ছিল, তবে এতটাই? বাংলাদেশের প্রতিটি বোলারের ইকোনমি রেট ছিল ৩-এর উপরে, যার মধ্যে নাহিদ রানা দিলেন প্রতি ওভারে ৫ রান। অফ স্পিনার নাঈম হাসান তুলনামূলক ‘কৃপণ’—৩.৪৪। অথচ শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে বেশ কজনই নিয়ন্ত্রণে ছিলেন।
এই পার্থক্যটাই বোঝায়, দুই দলের ব্যাটিংয়ের মানসিকতায় কতখানি ফারাক। একদল রান তুলছে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে, অন্যদল গুঁতোগুঁতি করে ইনিংস টানছে দুই দিনের বেশি। গলের উইকেট ব্যাটসম্যান–বান্ধব হলেও শ্রীলঙ্কার মতো ব্যাটিং করার সাহস, মেজাজ ও ধৈর্য কোথাও যেন হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ।
তবে ম্যাচের ফল এখনই বলা যাচ্ছে না। যদিও প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা এখনও পিছিয়ে ১২৭ রানে, বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস যদি আবারও ভেঙে পড়ে, তাহলে ম্যাচটা এক তরফা হয়ে যেতে পারে। আবার যদি ব্যাটসম্যানরা প্রথম ইনিংসের অর্ধেকও রান করতে পারেন, তবেই হয়তো ড্র–এর সম্ভাবনা জেগে থাকবে।
তবুও সেই ভয়টা থেকেই যায়—আবারও না গল ফোর্টের চাতালে গিয়ে বসতে হয়, শুধু সাদা পোশাকের ক্রিকেট নয়, একপেশে পরাজয়ের সাক্ষী হতে!
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৪৯৫ (মুশফিক ১৬৩, শান্ত ১৪৮, লিটন ৯০; আসিতা ৪/৮৬)
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৩৬৮/৪ (নিশাঙ্কা ১৮৭, চান্ডিমাল ৫৪, ম্যাথুস ৩৯*, কামিন্দু ৩৭*; হাসান ১/৪৯)
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ