শিরোনাম
কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯:৪৩, ১৯ জুন ২০২৫ | আপডেট: ২০:৪২, ১৯ জুন ২০২৫
দণ্ডপ্রাপ্ত পুত্রবধূর ছবি
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছা. ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তাসলিমাকে যাবজ্জীবনের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মো. বেলাল হোসেন ভূঁইয়া।
ঘটনার পেছনের গল্প যেন এক ট্র্যাজেডি নাটক—২০১৪ সালের ১১ জুলাই গভীর রাতে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আশকামতা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। অভিযুক্ত তাসলিমার স্বামী কর্মসূত্রে ঢাকায় অবস্থান করতেন। এ সুযোগে তিনি একাধিক পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রতিবাদ করেছিলেন শ্বশুর মো. চান মিয়া। সেই প্রতিবাদই কাল হয়ে দাঁড়ায় তার জন্য।
ঘুমন্ত শ্বশুরকে তাসলিমা প্রথমে ধারালো ছুরি দিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে দেন, পরে একাধিক ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। হত্যার পর গোসল করে নিজেই হত্যার কথা জানান দেন দেবর বোন বেবি আক্তারকে এবং পরদিন তাকে সঙ্গে নিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও উপস্থাপিত প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেন।
চান মিয়ার পরিবার এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও এলাকায় আবারও আলোচনায় এসেছে ভয়াবহ সেই রাতের ঘটনা, যা কুমিল্লার অন্যতম আলোচিত হত্যা মামলা হিসেবে বিবেচিত।
ডিএক্স/এসকে