শিরোনাম
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০:২২, ১৯ জুন ২০২৫ | আপডেট: ২০:৩৩, ১৯ জুন ২০২৫
সংবাদ সম্মেলনের ছবি
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে কাজিপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন এস.এম. শামিম হোসেন নামের এক ঠিকাদার। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ‘ক্ষুদ্র মেরামত’ বরাদ্দ পাওয়া ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজ সম্পন্ন করার পর প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ ঘুষ হিসেবে ৮০ হাজার টাকা করে গ্রহণ করেন।
তিনি আরও দাবি করেন, আবু সাঈদ নিজের পছন্দের ঠিকাদার দিয়ে কাজ করাচ্ছেন এবং একাধিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, যা নিয়মবহির্ভূত। এতে কাজের গুণগতমান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, চলতি বছরের মে মাসে নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের একটি ক্লাস্টার প্রশিক্ষণে নিয়ম ভেঙে ৩০ জনের স্থলে ৬০ জন শিক্ষককে একত্রে প্রশিক্ষণ দেন আবু সাঈদ। এতে শিক্ষক সমাজে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযোগের পক্ষে অডিও রেকর্ডও রয়েছে বলে দাবি করেন শামিম হোসেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, এসব অনিয়ম সম্পর্কে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান অবগত থাকলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
এই বিষয়ে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
অভিযোগকারী এস.এম. শামিম হোসেন বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত এবং অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
ডিএক্স/এসকে