শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১:৫৪, ১৯ জুন ২০২৫
ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল তাঁর ইরান সংক্রান্ত চিন্তাভাবনা সম্পর্কে কিছুই জানে না। তার ভাষায়, “ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ইরান বিষয়ে আমার চিন্তাভাবনা সম্পর্কে কিছুই জানে না!” — এই মন্তব্য দিয়েই আবারও তিনি জোর দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন, তাঁর নীতিগত অবস্থান বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া গণমাধ্যমের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
এর আগেই আল–জাজিরা প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল তাদের খবরে উল্লেখ করেছে—ট্রাম্প নাকি ইরানে সামরিক হামলার একটি পরিকল্পনায় ব্যক্তিগতভাবে সম্মতি দিয়েছিলেন, তবে তা চূড়ান্তভাবে বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছিলেন এই আশায়, যে ইরান হয়তো পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরে আসবে।
তবে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া বোঝায়, বিষয়টি তিনি ভিন্নভাবে দেখছেন। এমনকি সম্প্রতি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, “দেখা যাক কী হয়। সবাই আমাকে এটা নিয়ে প্রশ্ন করছে, কিন্তু আমি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।”
ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক উত্তেজনা বহুদিনের। ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৮ সালে ইরান পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায়। এরপর থেকে ওয়াশিংটন ও তেহরানের সম্পর্কে অবিশ্বাস ও সামরিক উত্তেজনা আরও ঘনীভূত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের দ্বন্দ্ব, হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠীর তৎপরতা, এবং পারস্য উপসাগরজুড়ে ছায়াযুদ্ধ—এসব মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ফের বড় সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প যদি সত্যিই ইরানে হামলার বিষয়ে সম্মতি দিয়ে থাকেন, তাহলে সেটি কেবল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং নতুন করে একটি যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি করতে পারত।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ট্রাম্প এ ধরনের ‘অর্ধেক–খোলা’ মন্তব্য করে ইরানকে চাপের মুখে রাখতে চাইছেন, আবার একই সঙ্গে তাঁর সমর্থকদের কাছে ‘নির্ভরযোগ্য নেতার’ ভাবমূর্তি তুলে ধরছেন—যিনি প্রয়োজন হলে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারেন, আবার কৌশলগতভাবে সংযতও থাকেন।
তবে এটাও মনে রাখা দরকার, ট্রাম্প এখনো ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারে সরব এবং এমন বার্তাগুলো তাঁকে আবারো রিপাবলিকানদের মধ্যে বিদেশনীতি বিষয়ে ‘ফার্ম অথরিটি’র প্রতীক হিসেবে তুলে ধরছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ