শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:০৪, ১৯ জুন ২০২৫
ইরনা জানায়, হাসপাতালের কাছেই অবস্থিত ‘গাভ-ইয়াম নেগেভ টেকনোলজি পার্ক’ ছিল এই হামলার প্রকৃত লক্ষ্য। এই পার্কটি আইডিএফের এলিট প্রযুক্তি শাখা ‘সি৪আই ডিরেক্টরেট’, বেন গুরিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাইটেক খাতের যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সংস্থাটির ভাষ্য অনুযায়ী, “এই হামলার লক্ষ্য ছিল আইডিএফের বিশাল কমান্ড ও গোয়েন্দা ক্যাম্পাস, যা সরোকা হাসপাতালের পাশেই গাভ-ইয়াম প্রযুক্তি পার্কে অবস্থিত।”
প্রযুক্তি পার্কটির ওয়েবসাইটেও এটিকে ‘ইসরায়েলের অন্যতম আধুনিক গবেষণা ও উন্নয়ন হাব’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে আইডিএফের অভিজ্ঞ প্রযুক্তিবিদ, বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েট, হাইটেক উদ্যোক্তা ও গবেষকদের মধ্যে সংযোগ তৈরি হয়।
একই দিনে ইরানের ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের রামাত গান শহরে আঘাত হানে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার কিছু পর বিস্ফোরণ ঘটে তেল আবিবের পূর্বাংশে। এতে আশপাশের ভবন ও যানবাহনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের ফলে বহু ভবনের জানালা ভেঙে পড়ে, দেয়ালের অংশ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং ধ্বংসাবশেষ রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর জরুরি সাড়া দলের সদস্য গোলান ল্যান্ডসবার্গ বলেন, “এই এলাকায় বসবাসকারীদের অনেকে নিরাপদ কক্ষে আশ্রয় নিয়ে বেঁচে গেছেন। বড় ধরনের ক্ষতি হলেও নিরাপদ কক্ষগুলো প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে।”
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখনো এই হামলা সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, সম্প্রতি ইসরায়েল থেকে চালানো একটি ড্রোন হামলায় ইরানি কমান্ডারের মৃত্যু এবং সিরিয়ায় ইরানি ঘাঁটিতে হামলার প্রতিশোধ হিসেবেই এই হামলা চালিয়েছে তেহরান।
এদিকে, উদ্ধারকারীরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ করছে এবং হামলার পর ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার ও সহায়তা কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ