শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩:৫১, ১৯ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৫৩, ১৯ জুন ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
ইরান, রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান ও আলজেরিয়ার অনুরোধে এ বৈঠক হবে। চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা জানিয়েছে বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজ।
নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে ইসরায়েল অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন। খবর বিবিসির
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ শুক্রবার নিউইয়র্ক সময় সকাল ১০টায় জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছে। এর আগে ইরান জাতিসংঘে এক চিঠিতে জানায়, সংঘাত বিপজ্জনকভাবে বেড়ে গেছে এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের ক্রমবর্ধমান ও অনস্বীকার্য প্রমাণ রয়েছে।
এই অভিযোগ তুলে ইরান জরুরি বৈঠকের অনুরোধ করে জানায়। আর সেটিই সমর্থন করে রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান ও আলজেরিয়া।
ইরানের দাবি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র শুধু ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তাই দিচ্ছে না, বরং ইরানি ভূখণ্ডে হামলার পরিকল্পনাতেও যুক্ত রয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠকে পরিস্থিতি শান্ত করার সম্ভাব্য কূটনৈতিক পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের দ্রুত সমাধান চেয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে বলেন, রাশিয়া সংকট নিরসনে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস জানায়, দুই নেতা চলমান সংঘাত নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ পরিস্থিতিতে কোনো একপক্ষের উসকানি বা ভুল পদক্ষেপ বিশ্বকে আরো ভয়াবহ সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে পারে। ফলে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টাই এখন একমাত্র বিকল্প।
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন। তবে দেশটিতে হামলার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।
গোপন এক গোয়েন্দা সূত্র সিবিএসকে জানিয়েছে, ট্রাম্প এখনই হামলা শুরু করতে চান না। তিনি চাইছেন, ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করে দিক। তিনি ইরানের গোপন পারমাণবিক স্থাপনা ফর্দো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে হামলার বিষয়টি বিবেচনা করছেন।
এরই মধ্যে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ট্রাম্পের ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের’ দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ট্রাম্প বলেছেন, তার ধৈর্যের সীমা ফুরিয়ে গেছে।
ইরানে হামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বুধবার ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এটি করতেও পারি, না–ও করতে পারি।’
আয়াতুল্লাহ খামেনি বুধবার তার ধারণ করা এক ভাষণে ট্রাম্পের বক্তব্যের কড়া জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘যেকোনো মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের খেসারত দিতে হবে। ইরানি জাতি কখনোই আত্মসমর্পণ করবে না।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ