ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

৫ আষাঢ় ১৪৩২, ২২ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

উপদেষ্টারা সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না

নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশ: ১৭:১৮, ১৯ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১৭:৩০, ১৯ জুন ২০২৫

উপদেষ্টারা সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নতুন আচরণবিধির খসড়া চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও যুগোপযোগী বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিদেশি অর্থায়নে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধ এবং সব দলের এক প্ল্যাটফর্মে ইশতেহার ঘোষণা বাধ্যতামূলক।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বেলা সোয়া ১১টা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের সপ্তম সভায় এই আচরণবিধি-২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

নতুন বিধিমালায় স্পষ্ট করা হয়েছে, নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাতে গিয়ে প্রার্থীরা অনেক সময় বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি থেকে অর্থ সহায়তা গ্রহণ করে থাকেন—এই প্রবণতা বন্ধে বিদেশি অর্থায়নের প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ধরনের অর্থগ্রহণকে আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য করা হবে।

ভোটারদের জন্য তথ্যপ্রাপ্তি সহজ করতে, সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে নির্ধারিত প্ল্যাটফর্মে ইশতেহার ঘোষণা করতে হবে—এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এতে করে জনগণ সহজেই প্রতিটি দলের অঙ্গীকার ও পরিকল্পনার তুলনামূলক ধারণা পাবে।

নির্বাচনী প্রচারে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পোস্টার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিকল্প প্রচারপদ্ধতি গ্রহণে উৎসাহ দিতে পরিবেশবান্ধব কিছু বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপের বিধান রাখা হয়েছে। এতে আচরণবিধি মানতে প্রার্থীদের মধ্যে বাড়তি সচেতনতা তৈরি হবে বলে মনে করছে কমিশন।

এবারের আচরণবিধিতে নতুন করে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা যুক্ত করা হয়েছে—রাজনৈতিক দলগুলোকে আচরণবিধি মেনে চলার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অঙ্গীকারনামা দিতে হবে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি গঠিত নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশকে এই আচরণবিধির খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। এটি একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে আচরণবিধির খসড়া প্রকাশ করে জনমত গ্রহণ করতে পারে নির্বাচন কমিশন। এরপর আনুষ্ঠানিক গেজেট আকারে তা প্রণয়ন করা হবে।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ

আরও পড়ুন